দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় সরকারী বন্দোবস্তকৃত জমি জোরপূর্বক দখলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে ২৮ জানুয়ারী, ২৩ ইং সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন দেবহাটা উপজেলার ঘলঘলিয়া গ্রামের মৃত দাউদ আলীর ছেলে রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, তার পিতা দাউদ আলীর নামে ০৭ নং ঘলঘলিয়া রহিমপুর মৌজার এসএ ০১ নং খতিয়ানের ১৪৭৪, ১৫০৭, ১৫৭৬, ১২১৪, ১২৫৪, ১৪১৪ ও ১৮ নং দাগে ১ একর ৫০ শতক জমি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কর্তৃক ১৫৬/১৯৭৭-১৯৭৮ নং বন্দোবস্তকৃত কেসের মাধ্যমে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে তার পিতার নামে ৪-১-১৯৭৮ সালে ৩৬ নং কবুলিয়ত দলিল সম্পাদিত হয়। সেসময় থেকে তারা উক্ত জমিতে বসতঘর নির্মান করে ও সবজি এবং মৎস্য চাষ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এরপরে বর্তমান আরএস রেকর্ডে ৪৬৪ নং খতিয়ানের ২৩, ৩১২৮, ৩৩৫৩, ৩৪৪৭, ৩৪৮০, ৩৫০৮ ও ৩৫৮৯ দাগে মোট ১ একর ৪৬ শতক জমি বিলান শ্রেনী হিসেবে তার পিতার নামে রেকর্ড হয়। ঘলঘলিয়া রহিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুহুল আমিন, ঘলঘলিয়া গ্রামের ইসলাম মোল্লার ছেলে আমির হোসেন, একই গ্রামের আফছার আলীর ছেলে মিন্টু, একই গ্রামের মৃত নেছারউদ্দীন সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম ও রতেœশ্বরপুর গ্রামের আফাজউদ্দীন মোড়লের ছেলে শাহাবুদ্দীন মোড়লসহ এলাকার একটি কুচক্রীমহল তাদের মাথাগোজার ঠাই এই জমিটুকু কুক্ষিগত করতে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারা তাদের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়। পরে তারা গত ইং ২১-১০-২০২০ তারিখে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় এমন কাজ আর করবেনা মর্মে মুচলেকা দেয়।
এরপরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে একটি অভিযোগ দিলে তিনি সেটা তদন্ত করার জন্য দেবহাটায় প্রেরন করেন। দেবহাটা তহশিলদার ও এসি ল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার তদন্ত করে তাদের ( সাংবাদিক সম্মেলনকারী রুহুল আমিন) এর পক্ষে রিপোর্ট দেন। এছাড়াও ঐ কুচক্রীমহলটি যুগ্ম জেলা জর্জ আদালত, সাতক্ষীরাতে তাদের নামে ১৩/১৯ নং একটি মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করে।
বিজ্ঞ আদালত গত ২১-০৩-২০২১ ইং তারিখে ১৫নং আদেশবলে উক্ত মামলাটি খারিজ করে দেন। এভাবে ঐ কুচক্রীমহলটি একের পর এক তাদেরকে হয়রানি করে চলেছে। গত শুক্রবার একটি ছাগলকে কেন্দ্র করে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে শত্রæতামূলক আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুহুল আমিন তার স্ত্রী শাহানারা খাতুনকে ব্যাপক মারপিট করে। পরে তাকে সখিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এবিষয়ে তিনি দেবহাটা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে থানায় মামলা রেকর্ড হয় এবং রুহুল আমিনকে আটক করে। তিনি ঐসব ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রীমহলটির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন ও তারা যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারেন তার সুব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।