আসাদুজ্জামান : ভারতীয় আমদানি জাত পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে বুধবার সকাল দশটা থেকে পৌনে ১ টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম আবারো শুরু হয়েছে। ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা বন্দরের জিরো পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রাক আড় করে দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই সকাল থেকে ভারতীয় ট্রাক প্রতি ২০০ রুপি করে চাঁদা আদায় শুরু করলে ঘটে যায় এ বিপত্তি।
ভোমরা স্থল বন্দর আমদানিকারক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন জানান, এর আগে চলতি মাসের প্রথম দিকে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভারতীয় ট্রাক প্রতি ২০০ রুপি হারে চাঁদা আদায়ের সিদ্ধান্ত নিলে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা রপ্তানিকারক ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এ ধরনের চাঁদাবাজি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান। যার কারনে গত ৮ জুন থেকে ভারতীয় ট্র্যাক থেকে ভোমরা সিএন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশন চাঁদা আদায় করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি ভোমরা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানি কারক সমিতি এ ধরনের চাঁদাবাজির তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু আজ সকাল দশটায় হঠাৎ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রতি ২০০ রুপি হারে চাঁদাবাজি শুরু করলে উভয় দেশের আমদানি রপ্তানি কারকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যার কারণে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা জিরো পয়েন্টে পণ্যবাহী ট্রাক আড় করে দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। প্রায় তিন ঘন্টা বন্ধ থাকার পর চাঁদা না নেয়ার শর্তে আবারো আমাদানীরপ্তানী কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই সিএন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নামে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রতি ২০০ রুপি হারে চাঁদাবাজি শুরু করলে আমদানিকারকরা আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। পরে চাঁদা না নেয়ার শর্তে আবারো শুরু হয় বন্ধরের স্বাভাবিক কার্যক্রম।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, একটি মহল অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন। বর্তমানে আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।