নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার ভোমরায় চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর থানা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ব্যবসায়ী সাউদ সাদাত শনিবার সকালে মাকসুদ খাঁন ও তার ম্যানেজার মহসিন আলীসহ পাঁচজনকে আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মাকসুদ খান সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া মাস্টারপাড়া এলাকার মাস্টার মাহফুজুর রহমানের ছেলে। আর শুক্রবার রাতে আটক হওয়া মহসিন আলী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের বাসিন্দা।
তবে ভোমরাস্থল বন্দরের কয়েকজন জানান, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সাউদ সাদাতকে প্রতিদিন মহসীনের সাথে প্রকাশ্যে চা খেতে দেখেছি। তাকে বদ্ধ ঘরে আটক রাখার বিষয়টি পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। কারণ কাউকে ঘরে আটকে রাখা হলে তিনি কিভাবে প্রকাশ্যে চা খেতে বের হয়। এবিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, চট্রগ্রামের ব্যবসায়ী সাউদ সাদাতকে ১৩ দিন ধরে ভোমরায় ম্যানেজারের বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে মাকসুদ খানের বিরুদ্ধে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাউদ সাদাতকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয় ম্যানেজার মহসিন আলীকে। শনিবার সকালে সাউদ সাদাত বাদী হয়ে ১৬৫ ধারায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মাকসুদ খাঁন ও ম্যানেজার মহসিন আলী,কর্মচারী আকাশ হোসেন,রাকিব হোসেন ও আজিজুল ইসলাম টপিকে আসামী করে একটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে মাকসুদ খাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সাউদ সাদাত স্ত্রী ফারহানা রেজা জানান, তার স্বামীর কাছে মাকছুদ খান টাকা পাবেন এটা সঠিক। ১৩ দিন ধরে তিনি সাতক্ষীরার ভোমরায় অবস্থান করলেও প্রতিদিনই আমার সাথে কথা বলতেন এবং বলতেন তিনি ভালো আছেন। তবে গত দুইদিন আগে তাকে মারপিট করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে, শুক্রবার রাতে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম মাকসুদ খান জানান, সাউদ সাদাতের সাথে চারমাস ধরে ব্যবসা চলছিল। লেনদেনও ভালো ছিল। তবে কোরবানি ঈদের দশদিন আগে তার কাছ থেকে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকার শুকনা মরিচ, রসুন, পেয়াজ নিয়ে আর টাকা দেননি তিনি। এবিষয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানা ও সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়। তাকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার ম্যানেজারের সাথে একসাথে একরুমে থাকতো, খাওয়া-দাওয়া করতো। ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার তার পাওনা ৫০লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা যাতে না দিতে হয় সেজন্য তিনি এই অপহরণের নাটক তৈরি করেছেন। তার কাছে মালমাল পাঠানোর সকল কাগজপত্র আমার কাছে রক্ষিত আছে।