নিজস্ব প্রতিনিধি : চাহিদা মোতাবেক যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় ৬ বছরের শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৬ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী রাবিয়া খাতুন। এঘটনায় ভুক্তভোগী স্ত্রী ন্যায় বিচার চেয়ে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৫ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক শ্যামনগর উপজেলার সেন্ট্রাল কালিনগর গ্রামের এবাদুল ইসলামের কন্যার সাথে পূর্ব ধানখালী গ্রামের নূরুল ইসলাম সানার পুত্র এনামুল কবির সুরুজের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ ১লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে তার ঔরষে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। বিবাহের কিছুদিন পর থেকে সুরুজ ২লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। সম্প্রতি সুরুজের ভাই ইমরান হোসেন, পিতা নুরুল ইসলাম, মাতা জাহানারার কু পরামর্শে পুনরায় ২ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে অত্যাচার করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মারপিট করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী রাবিয়া খাতুন মারপিটের এক পর্যায়ে গলায় উড়না পেচিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পিতার বাড়িতে চলে আসে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করে সুস্থ্য হতে না পেয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এঘটনায় শ্যামনগর থানায় মামলা করতে গেলে থানাপুলিশ আদালতের পরামর্শ প্রদান করেন। পরামর্শ মোতাবেক সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।
ভুক্তভোগী রাবিয়া খাতুন জানান, ৬ বছরের শিশুকে নিয়ে এখন আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পিতার আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না হওয়া তার মেটাতে পারিনি। অন্যদিকে সুরুজ আমাকে তালাক দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এঘটনায় তিনি ন্যায় বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী এনামুল কবির সুরুজ বলেন, আমি যৌতুকের জন্য কোন মারপিট করিনি। তার সাথে আমার বনাবনি হচ্ছে না। এটা নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিসী বৈঠকও হয়েছে। কোন সমাধান হয়নি।##