নিজস্ব প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ মোজাহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও প্রেরণার নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, জঘণ্য মিথ্যাচারসহ নানাভাবে হয়রানির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার। বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাক্ষ আজাদ হোসেন বেলাল, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, শিক্ষাবিদ কিশোরী মোহন সরকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, পুজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, সাংবাদিক নেতা মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সি পি বি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি কম: আবুল হোসেন, জে এস ডির কেন্দ্রীয় নেতা শুধাংশু সরকার, বাসদ জেলা শাখার সমনয়ক নিত্যা নন্দ, উদীচী জেলা শাখার সভাপতি শেখ সিদ্দুকুর রহমান, কন্ঠশিল্পী চৈতালী মুখার্জ্জী, জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলী, সাধারন সম্পাদক আব্দুস ছামাদ, নারী নেত্রী প্রতিমা রানী সরকার, এন জিও কমী মিনাল কুমার সরকার, প্ররনার কর্মী টুম্পা দত্ত,সহ আরো উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জেলা গণফোরামের সভাপতি আলীনুর খান বাবুল।
বক্তারা বলেন, সংখ্যালঘুরা এদেশের ভূমিপুত্র। তারা উড়ে আসেনি। শম্পা গোস্বামী অসহায় নির্যাতিত নারীদের নিয়ে কাজ করে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের কর্মদক্ষ করে গড়ে তুলতে ভ‚মিকা পালন করে আসছে। শুধু মাত্র ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি শাহাদাত হোসেন ও তার পুত্র বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান বাপ্পি, সালাম, গাজী আজিজুর রহমান, এড. জাফরউল্লাহ (কুবুতউদ্দিন), আসাদুল ইসলাম খোকা, সংখ্যালঘু ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগে বহিস্কৃত শিক্ষক আব্দুস সামাদসহ তাদের সহযোগিরা উন্নয়নকর্মী ও শিক্ষক শম্পা গোস্বামীকে দিশেহারা করে তুলেছে। শাহাদাতের নির্দেশে এবং স্থানীয় কতিপয় এনজিও’র ইন্ধনে বিভিন্ন সময়ে কালিগঞ্জ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, একাধিক মামলার আসামীদের ভাড়া করে শম্পা গোস্বামী সম্পর্কে জঘণ্য মিথ্যাচার করে মানহানিসহ করে যাচ্ছে।
অথচ শম্পা গোস্বামী দীর্ঘদিন ধরে অত্র এলাকার অসহায় নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভ‚মিকা রেখে যাচ্ছেন। তার প্রতিষ্ঠানে পত্যক্ষ পরোক্ষভাবে ১শ কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়া এলাকায় প্রায় ১০ হাজারের অধিক সুবিধাভোগী নারী রয়েছে। শম্পার নেতৃত্বে এলাকার এধরনের কর্মযজ্ঞে স্থানীয় কুচক্রী মহল এবং কতিপয় এনজিও ঈশর্^ান্বিত হয়ে বিভিন্ন চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। চক্রান্তের অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে জেল জরিমানা, মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়া অন্যায়ভাবে স্কুল থেকে বহিস্কার করে তাকে চাকুরিচ্যুত করার জঘণ্য চক্রান্তও করে যাচ্ছে শাহাদাত গং। এরই অংশ হিসেবে মানববন্ধনের নামে অশ্লীল মন্তব্য করে মানহানির মত গুরুত্বর অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা হুশিয়ারি প্রদান করে বলেণ, সংখ্যালঘু বলে শম্পা গোস্বামীকে হয়রানি করা হলে আমরা বসে থাকবো না। আমরা এদেশের মানুষ। নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য প্রয়োজনে রক্ত দিতেও প্রস্তুত আছি।