প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
জলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে ” এনগেজ ” প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন ।
সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তারঃ মোঃ জিয়াউর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস. এম দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিরাজ হোসাইন ,উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত ) আমজাদ হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত ) আহসান হাবিব, শ্যামনগর উপজেলা এন জি ও সমন্বয়কারী গাজী আল ইমরান, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন সুশীল সমাজ সংগঠনের প্রতিনিধি বৃন্দ সহ বারসিক এর এনগেজ প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ ।
উক্ত প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় এরিয়া অফিসার রোকসানা পারভীন এর উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার ও পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মাহাবুবুর রহমান। প্রকল্প উপস্থাপনার পর প্রকল্প সমন্বয়কারী উন্মুক্ত আলোচনার জন্য প্রকল্প উপস্থিত সকলকে বিনীত আহব্বান জানান।
প্রকল্পটি খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার মোট ২৪ টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের ২০ হাজার প্রান্তিক মানুষ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবেন, যার মধ্যে অন্তত অর্ধেক নারী। প্রকল্পটি মূলতঃ উপকূলীয় অঞ্চলের দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠির মানবাধিকার, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধি, জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং এলাকার যুব সম্প্রদায় ও নাগরিক সমাজের সাথে যৌথভাবে কমিউনিটিকে সরকারি/বেসরকারি সেবাদানকারি সংগঠনের সেবাপ্রাপ্তিতে সচেতন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।
একই সাথে প্রকল্পটি এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তথ্যগত সহযোগিতা ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে এবং প্রকল্পের লক্ষ্যভূক্ত পরিবার সমূহের জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগ ঝুঁকি কিভাবে কমানো সম্ভব তা নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা এ্যাডভোকেসি ও নানা ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করবে যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন সহায়তা করবে।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, এ প্রকল্প জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূণর্ অবদান রাখবে।