নিজস্ব প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন পরিকল্পনা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় জেলা পর্যায়ে স্ট্রেকহোল্ডার পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের টাইগার প্লাস কনফারেন্স রুমে “লোকাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান অ্যান্ড অ্যাকশন (ল্যাপা) ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য পটুয়াখালী এবং সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্টস” প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ। কর্মশালায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি)।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তরণের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট মুনির উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন প্রকল্প প্রধান হাসান আব্দুল্লাহ রাফাত। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর মো. মাহফুজুর রহমান, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মান্নান কবির, জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, যুব উন্নয়নের সহকারী পরিচালক মোছা. এসমত আরা বেগম, সমাজসেবা অফিসার প্রবীর রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাহিনুর রহমান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান, একাত্তর টিভি’র বরুণ ব্যানার্জি, ডিবিসি নিউজের এম বেলাল হোসাইন, মানবজমিন’র এস এম বিপ্লব হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার পানি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)-এর পাশাপাশি স্থানীয় বাস্তবতা অনুযায়ী কার্যকর অভিযোজন পরিকল্পনা (ল্যাপা) গ্রহণ জরুরি। তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।
তথ্য উপস্থাপনায় জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালে ন্যাপ অনুমোদন করেছে, যার বাস্তবায়নকাল ২০২৩ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত। স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতা ও মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজতেই ল্যাপা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা খাবার পানির সংকট, কৃষিজমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এসব সমস্যা সমাধানে তারা দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় ধারাবাহিক আলোচনা, কর্মশালা এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সম্পৃক্ততায় সাতক্ষীরার জন্য একটি চূড়ান্ত স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়ক আল আমিন মোল্লা