নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা’র কালিগঞ্জ উপজেলার সাবেক সমাজ সেবা অফিসার ও বর্তমান বাগেরহাট জেলা সমাজসেবা অফিসের প্রবেশন অফিসার শেখ শহিদুর রহমান কর্তৃক এক প্রতিবন্ধীর নামে ভিক্ষুক পূর্ণবাসন খাতের বরাদ্দকৃত ট্রাই সাইকেল বাবদ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের চরদাহ গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র ওই ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী আলমগীর কবির তার বরাদ্দকৃত টাকা ফেরতসহ সমাজসেবা অফিসার শেখ শহিদুর রহমানের অনিয়ম দূর্নীতির বিচারের দাবীতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরে আবেদন করেছেন। তবে, সমাজ সেবা প্রবেশন অফিসার শেখ শহিদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করে জানান, ভিক্ষুক পূর্ণবাসন খাতের বরাদ্দকৃত ট্রাই সাইকেল বাবদ ৩০ হাজার টাকা তার মায়ের হাতে দেয়া হয়েছে।
প্রতিবন্ধী আলমগীর কবির তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন যে, কালিগঞ্জ উপজেলা ভিক্ষুক পূর্নবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে গত ২০-১০-২০২৪ তারিখে সমাজসেবা অফিস হতে ট্রাই সাইকেল ক্রয় বাবদ আমার নামে ৩০ হাজার টাকা পাশ করা হয়। এছাড়া এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সমাজসেবা অফিসার শহিদুর রহমান আমার কাছ থেকে একটি দরখাস্ত নিয়ে তার অফিসের হুমায়ন কবিরকে দিয়ে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, সাতক্ষীরা থেকে আমার নামে একটি ট্রাই সাইকেল গ্রহন করেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের মাধ্যমে আমাকে ২৮-১১-২০২৪ তারিখে মাত্র একটি ট্রাই সাইকেল প্রদান করেন। তবে, ভিক্ষুক পূর্ণবাসন প্রকল্প হতে পাশকৃত ৩০ হাজার টাকা আমাকে প্রদান না করে সমাজসেবা অফিসার শহিদুর রহমান সেটি আত্মসাৎ করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, আমি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অথচ প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র হতে গ্রহনকৃত ট্রাই সাইেকেলটি আমাকে প্রদান করলেও উপজেলা ভিক্ষুক পূর্ণবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কমিটির মাধ্যমে পাশকৃত ট্রাই সাইকেল বাবদ ৩০ হাজার টাকা সমাজ সেবা অফিসার শেখ শহিদুর রহমান ময়না আত্মসাৎ করেছেন। তিনি উক্ত আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত ও তার অনিয়ম দূর্নীতির বিচারের দাবী জানিয়েছেন তার আবেদনে।
এছাড়া, তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করে অনিয়ম দূর্নিতীর মাধ্যমে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ রোডে গড়ে তুলেছেন আলীশান বাড়ি। গত ৫ আগস্টের পর তাকে শ্যামনগর উপজেলায় বদলী করা হলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে সাতক্ষীরা সদর আসনের তৎকালীন এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবির খুব আস্থাভাজন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সেখানকার স্থানীয় জনগণ দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনি সেখানে যোগদান করতে পারেননি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে তাকে বাগেরহাট সমাজসেবা অফিসের প্রবশন অফিসার হিসেবে বদলী করা হয়।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা অফিসার শেখ শহিদুর রহমান জানান, ভিক্ষুক পূর্ণবাসন খাতের বরাদ্দকৃত ট্রাই সাইকেল বাবদ ৩০ হাজার টাকা তার মায়ের হাতে দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র হতে প্রাপ্ত ট্রাই সাইেকেলটি তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।##