ভিন্ন স্বাদের সংবাদ : কথায় আছে জন্ম-মৃত্যু-বিবাহ নাকি আমাদের হাতে নেই। যখন কপালে লেখা আছে, তখন হবেই হবে। কিন্তু আপনি যদি ভুল বশত পৃথিবীর এই শহরগুলিতে জন্মে থাকেন তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! কারণ এই শহরগুলিতে রীতিমতো আইন পাশ করে মৃত্যুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই তো এইসব জায়গায় বেরাতে গিয়ে আর যাই করুন ভুলেও মরে যাওয়া যাবে না।
কোন কোন জায়গায় এমন আজব রকমের আইন রয়েছে, চলুন জেনে নেই সেই আজব জায়গাগুলোর নামঃ-
১। ইটসুকুসিমা
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোড়া জাপানের এই দ্বীপটিতে ইচ্ছা হলে বেরাতে যেতেই পারেন। এখানকার বাসিন্দারা দ্বীপটিকে পবিত্র বলে মনে করেন। তাই এ জায়গায় কারও মৃত্যু হোক এমনটা তারা চান না। সেই কারণেই তো ১৮৭৮ সাল থেকে নিয়ম করে মৃত্যুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেখানকার সরকার।
২। সেলিয়া
ছবির মতো সুন্দর এই শহরটি ইতালিতে অবস্থিত। এখানে বড় জোর ৫৩৭ জনের বাস এবং সবারই বয়স ৬৫-এর কাছাকাছি। সরকার নিয়ম করে দিয়েছে রোগাক্রান্ত হওয়া একেবারেই চলবে না। আর রোগে ভুগে মৃত্যুতো একেবারে বেআইনি। একধাপ এগিয়ে আরেকটি নিয়ম পাশ করিয়ে নিয়েছেন। সেই নিয়ম অনুসারে এই শহরের বাসিন্দাদের বছরে একবার ফুল বডি চেকআপ করতেই হবে। আর যদি কেউ এমনটা না করেন তাহলে দিতে হবে ১০ ইউরো পর্যন্ত ফাইন।
৩। লা-ল্যাভেনডিউ
পাহাড়-পর্বতে ঘেরা ফ্রান্সের এই শহরটির সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমুদ্রের ধারে কবরস্থান বানানো চলবে না। এদিকে পুরনো কবরস্থানে আর জায়গা নেই। তাই তিনি একটি আইন জারি করেছেন, তাতে বলা হয়েছে অন্য কোনও দেশ থেকে কেউ এই শহরে বেরাতে এসে যদি মারা যান, তাহলে তার মৃতদেহ তার দেশে পিঠিয়ে দেওয়া হবে। ভুলেও লা-ল্যাভেনভিউ শহরে তাকে কবর দেওয়া চলবে না।
৪। কগনক্স
যতদিন না পর্যন্ত খালি পরে থাকা একটি ছোট বিমান বন্দরকে কবরস্থানে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ততদিন পর্যন্ত কগনক্স শহরের বাসিন্দাদের মরতে মানা ছিল। ভাবুন একবার, তখন যদি কারও মৃত্যু ঘটত, তাহলে কী হত।
৫। ল্যানজারন
৪০০০ মানুষের বাস হলেও স্পেনের এই শহরে একটিও লাশবাহী গাড়ির খোঁজ পাওয়া যায় না। কেন জানেন। কারণ এখানে যে কবরস্থানটি রয়েছে সেখানে আর মৃতদেহ কবর দেওয়ার জায়গা নেই। তাই কোনও উপায় না পেয়ে সরকার এ শহরের বাসিন্দাদের সেখানে মরতে মানা করে দিয়েছেন। ভুলেও যাতে ল্যানজারন শহরে কেউ মারা না যান, তা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ আইনও প্রণয়ন করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট