কেএম রেজাউল করিম: দেবহাটার নাংলা এলাকার বেড়িবাঁধে ভয়াবাহ ভাঙ্গনে ভয়ে আশংঙ্কায় প্রতিটা সময় পার করছে স্থানীয়রা। ইছামতি নদীর নাংলা, ছুটিপুর, খানজিয়াসহ আশপাশের গ্রামগুলোকে নদী ভাঙন আতঙ্গে প্রতিটা সময় পার করছে। অন্যদিকে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীপাড়ে ব্লক বাঁধা অংশের নিচ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে তা বিক্রি করছে। এতে নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকার জনসাধারণসহ আশপাশের ৮-১০ গ্রামের লোকজন। সরেজমিনে দেখা গেছে, নাংলা থেকে ছুটিপুর পযন্ত প্রায় ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইছামতির নদীর বেড়ি বাধের চারভাগের তিন অংশ ভেঙে গেছে। তাছাড়া নাংলা হতে খানজিয়া পর্যন্ত অসংখ্য জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদীর বিভিন্ন স্থানে সারিবদ্ধভাবে ইঞ্জিনচালিত বড় বড় খননযন্ত্র ও নৌকা দিয়ে বালু তোলা হয়। বালু উত্তোলনকারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পান না বলে স্থানীয়রা জানান। সাম্প্রতিক উক্ত এলাকার বেড়িবাঁধ ভাংতে বড় জোয়ার বা সামান্য বৃষ্টি হলেই বেড়িবাধ ভেঙে গ্রামে পানি প্রবেশ করবে। আর তাতে কয়েক কোটি টাকার সম্পদের পাশাপাশি শতার্ধীক পরিবার চরমবিপাকে পড়বে। প্রতিবছর ইছামতি নদীর বেড়িবাধ ভেঙে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মূখিন হচ্ছে সীমান্তপাড়ের মানুষেরা। এতে এলাকাবাসী চরমদূর্ভোগে পড়ে। একই সাথে এসব এলাকার মৎস্যঘের, ফসলি জমির ফসল, বসতবাড়ি, খামার প্লাবিত হলে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ নদীর পানিতে ভেসে যাওয়ার আশংঙ্কা বিরাজ করেেছ। ইতোপূর্বে উক্ত এলাকায় বেড়িবাধে ভাঙন দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা দিয়ে নাম মাত্র বাধ রক্ষা করা হলেও তাতে কোন স্থায়ী সমাধান মেলেনি। তাই সীমান্ত পারের ভুক্তভোগেীরা আতঙ্কে সময় পার করছেন একই সাথে নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধান হোক এমনটি দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট