১৭ রানে অ্যালিস্টার কুক ও কিটন জেনিংসকে হারিয়ে ইংল্যান্ড তখন বিপদে। মরনে মরকেল ও ভারনন ফিল্যান্ডারের পেস গোলায় ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা কাঁপছেন। আক্রমণই প্রতিরক্ষার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। কথাটা মাথায় ছিল রুটের। উইকেটে এসেই শুরু করলেন আক্রমণ। অপর প্রান্তে সতীর্থরা যাওয়া-আসার মধ্যে থাকলেও রুট ছিলেন অবিচল।
অপর প্রান্তে বেন স্টোকস চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছোটালে কিছুটা শান্ত হন রুট। ৮৯ বলে পূর্ণ করলেন অর্ধশতক। সেঞ্চুরিটা এলো ১৫০তম বলে। ১৪৯ রানে কেশব মহারাজের বলে এগিয়ে এসেন মারতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন। তবে নো বলের কল্যাণে সেবার বেঁচে যান এই ব্যাটসম্যান। প্রথম দিনের ১৮৪ রানের ইনিংসে ওই একটিই কলঙ্ক রুটের। দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৫৭। রুটের সঙ্গে মইন আলি অপরাজিত রয়েছেন ৬১ রানে।
অভিষেক টেস্টে যেকোনো ইংলিশ অধিনায়কের এটিই সর্বোচ্চ রানের ইসিংস। এর আগে অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিষেক টেস্টের প্রথম দিনে ১৭৩ রানে ইনিংস খেলেছিলেন অ্যালিস্টার কুক। প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার লর্ডসে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড প্রথম উইকেট হারায় ১৪ রানের মাথায়। ফিল্যান্ডারের বলে আউট হন অ্যালিস্টার কুক। মাত্র ৩ রান করেন সাবেক এই অধিনায়ক। এরপর ১৭ রানের মাথায় জেনিংসকে ফেরান ফিল্যান্ডার। এরপর গ্যারি ব্যালেন্স, জনি বেয়ারস্টোরা দ্রুত ফিরলে বেন স্টোকস সঙ্গী হন রুটের। এ দুজন স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১১৪ রান। রাবাদার বলে ৫৬ রান করে আউট হন স্টোকস। এরপর মইন আলিকে নিয়ে স্কোরে আরো ১৬৭ রান যোগ করেন রুট। যেখানে মইনের অবদান ৬১! ২২৭ বলে ২৬ চার ও এক ছয়ে ১৮৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন রুট।