নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বিয়ের ঘটকালী করতে গিয়ে এক নারী ঘটক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ অভিযোগে মওদুদ আহমেদ (৪৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মওদুদ উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামের আনছার আলী মোল্লার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুরের মওদুদ আহমেদ বিয়ে করবে বলে শনিবার পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মল্লিকচক গ্রামের মৌচাক ব্যবসায়ী সোলায়মানের বাড়ি যায়। সোলায়মান ওই নারী ঘটক ও মওদুদকে তিনটি মেয়ে দেখান। তাদের মধ্যে চাটমোহর উপজেলার মাহেলা গ্রামের আ. গনির মেয়েকে দেখে পছন্দ করেন মওদুদ।
কনেপক্ষ মওদুদের বাড়িঘর দেখার কথা বললে সোলায়মান ওই নারী ঘটককে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মওদুদের বাড়ি গুরুদাসপুরে পাঠায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেখানে পৌঁছার পর ঘটক ফিরে যেতে চাইলে রাতের খাবার খেয়ে যেতে বলে ভাত রান্না করে মওদুদ। পরে রাত হয়ে গেলে ওই নারীকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে সারারাত একাধিকবার ধর্ষণ করে।
অভিযুক্ত মওদুদ আহমেদ জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই নারী ঘটকের সঙ্গে তার এলাকার আরও চারজন মানুষ ছিল। ফলে ধর্ষণের প্রশ্নই আসে না।
গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলিপ কুমার দাস বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত ধর্ষণ কী না, তা বলা যাবে না। তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।