ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরাকির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ খবর জানিয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহযোগিতা নিয়ে মসুল দখলমুক্ত করতে গত বছর ১৭ অক্টোবর থেকে ইরাকি সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। কুর্দি পেশমারগা যোদ্ধা, আরব সুন্নি উপজাতি ও শিয়া মিলিশিয়ারা মসুল দখলমুক্ত করার অভিযানে অংশ নেয়।
২০১৪ সালের জুন মাসে আইএস যোদ্ধারা ইরাকের সুন্নি মুসলিমদের প্রধান শহর মসুল দখল করে খিলাফত ঘোষণা করে। পরে তা ইরাক ও সিরিয়ায় বিস্তৃত হয়।
রবিবার শহরটিতে বিচ্ছিন্নভাবে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে এবং আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডুলিও দেখা গেছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। পুরনো শহরটির বিভিন্ন পকেটে অবস্থান নেওয়া আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করছিল ইরাকি সেনারা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার মসুলে চূড়ান্তভাবে আইএসকে পরাজিত করার পর প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছান। তিনি সেনা সদস্য ও ইরাকি জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শিগগিরই এই বিজয় নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাষণ দেবেন তিনি।
ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইরাকি সেনারা টাইগ্রিস নদীর দিকে এগিয়ে গেলে নদীতে লাফিয়ে পড়ে অন্তত ৩০ জন আইএস যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
এর আগে জানুয়ারিতেই ইরাক মসুলকে মুক্ত করার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু শহরটি পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকায় আইএসের উপস্থিতি ছিল। এ অঞ্চল দখলমুক্ত করতে ইরাকি সেনা বাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়।
২০১৪ সালের পর থেকে মসুলের প্রায় ৯ লাখ মানুষ ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন। ত্রাণ সংস্থার মতে, এটা মসুলের অর্ধেক জনসংখ্যা। সূত্র: বিবিসি।