পাঁচ মাস বয়সী একটি বাছুরকে ঘিরে কম্বোডিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। শত শত লোকজন সেখানকার উত্তর-পূর্বাংশের প্রদেশ ক্রাতির এক গ্রামে বাছুরটিকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
কারণ ৭৪ বছরের খজম হাং নামে এক নারী দাবি করে বসেন আছেন, তার স্বামী ওই বাছুর রূপে পুনরায় জন্ম নিয়েছেন। বছরখানেক আগে মারা যাওয়া টোল খাট যে ধরনের আচরণ করতেন, তার সঙ্গে ওই বাছুরের আচরণের নাকি মিল পেয়েছেন তিনি।
কম্বোডিয়ার ৯৫ শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মৃত্যুর পর মানুষের পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন তারা। এই পুনর্জন্ম বিভিন্নভাবে হতে পারে। অল্পদিন পরে কিংবা দেরিতে আবার মানুষ কিংবা অন্য যে কোনো প্রাণীর রূপ নিয়ে ফিরে আসতে পারে। সেই হিসেবে সেখানকার অনেকেই ঘটনাটি বিশ্বাস করছেন।
খজম হাংয়ের দাবি, বাছুরটি অাসলেই তার স্বামী। বেঁচে থাকতে তার স্বামী যা যা করত, বাছুরটি সেই কাজগুলোই করছে। তবে বাছুরটির কী ধরনের কাজে স্বামীর কাজের সঙ্গে মিল পেয়েছেন সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
গত মার্চে জন্ম নেয়া বাছুরটিকে নিয়মিত গোসল করানো হচ্ছে, যত্ন সহকারে খাওয়ানো হচ্ছে, টোল খাটের ঘুমানোর বিছানায় বাছুরটিকে শুইয়ে দেয়া হচ্ছে।
এভাবেই যত্ন-আত্তি করে আমৃত্যু বাড়িতে রেখে দেয়ার কথাও বলেন খজম হাং। বাড়িতে এভাবে বাছুরের খাতির যত্ন অার স্বামী হিসেবে দাবি করার একটি ভিডিও ফেসবুকে দেখেছেন তরুণী থাচ ভিন।
তিনি বলেন, আমি ভাবতাম এভাবে বাড়ির ভিতর বাছুর পুষে রাখা অসম্ভব। সেই ধারণা থেকেই ওই বাড়িতে যাওয়া। সেখানে গিয়ে তো ঘটনাটি নিজের চোখে দেখলাম।
সূত্র : রয়টার্স