নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার ভাই শেহবাজ শরিফকে মনোনয়ন দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)-নওয়াজ। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে যাচ্ছেন সদ্য পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া নওয়াজের সহোদর শেহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে বলছে, পিএমএল’র পরামর্শমূলক এক বৈঠকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেহবাজকে এগিয়ে রেখেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। তবে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৪৫ দিনের দায়িত্ব পালনের পর মসনদে বসবেন তিনি।
অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য শনিবার ইসলামাবাদে পিএমএল’র বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্তত ৪৫ দিনের জন্য দায়িত্ব পালন করতে হবে। এরপরই শেহবাজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুপারিশ করা হবে। পার্লামেন্টে অনুমোদন পেলেই তিনি দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার আগে শেহবাজ শরিফকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে। তিনি পদত্যাগ করলে তার ছেলে হামজা শেহবাজ শরিফ পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
১৯৫১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের লাহোরে জন্ম শেহবাজ শরিফের। ২০১৩ সালের ৮ জুন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।
অন্যদিকে ১৯৮৫ সালে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন নওয়াজ শরিফ। ১৯৯০ সালের ১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের মসনদে বসেন তিনি। তিন বছরের মাথায় ১৯৯৩ সালে দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হয় তাকে।
১৯৯৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজ শরিফ। এবারও পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা হয়নি নওয়াজের। ১৯৯৯ সালে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান তিনি। তৃতীয়বারের মতো পূর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন নওয়াজ। এর ফলে ক্ষমতা পূর্ণ না করার হ্যাট্রিকও পূরণ হলো পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী।
এবার নওয়াজের পদত্যাগে ভাগ্য খুলল ছোটো ভাই শেহবাজের। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন পাঞ্জাবের এই মুখ্যমন্ত্রী।