নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজের ভাই কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার দখলীয় ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই মুক্তিযোদ্ধা সদর উপজেলার ওরা ১৩ জন খ্যাত মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম মুসা আমিন। সে উপজেলার বৈচনা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক গাজীর ছেলে।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা মুসা আমিন জানান, ১৯৬৫ সালে তার ছোট মামা মোহাম্মাদ গাজী সরকার বাহাদুরে কাছ থেকে বৈচনা মৌজার ৫২ ও ৩১ নং খতিয়ানের ২৫৬৬, ২৫৩০, ২৫৬০, ২৫৬২, ২৫৬১ দাগে ৩৪ শতক জমি নিয়ে তারা বসবাস শুরু করেন। উক্ত সম্পত্তি মামা মৃত্যুর পূর্বে আমাদের ৫ ভাইবোনদের মাঝে বন্টন করে দেন। কিন্তু আমার সেঝ ভাই রফিকুল ইসলাম বান্টু তার ভাগের টুকু বিক্রি করে দেয়। এরপর বান্টু ও তার স্ত্রী আমাদের ৪ ভাই বোনের সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য বিভিন্ন পায়তারা শুরু করে। আমাকে সর্বশান্ত করার জন্য একের পর এক মিথ্যা হায়রানী মূলক মামলা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাকে কোনভাবে দমন করতে না পেরে ২০০৯ সালে রফিকুল নিজের ছেলেকে হত্যা করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। সে সময় আমি ১০৭ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। বিচারক তথ্য প্রমান যাচাই করে ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মোচলেকা দিয়ে চলে যায় রফিকুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, চলতি বছরের ১৩ জুন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারার বিধান মতে একটি মামলা করি যা বর্তমানে চলমান আছে।
এদিকে ভোমরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব রফিকুল ইসলাম,সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাল ফ্লাক দিয়ে জমির সিমানা নির্ধারণ করেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধা মুসা আমিন যেন উক্ত জমিতে বসবাস করতে পারেন তিনি সে ব্যাপারে সমাধানের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে রফিকুল ইসলাম বান্টু ও তার ছেলে প্রতিনিয়তই মুক্তিযোদ্ধা মুসা আমিন ও তার পরিবারের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে এবং তাদের লাঞ্চিত করার চেষ্টা করে এবং লাঠি,দা নিয়ে সবসময় পাহারা দেয়। এসব ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা মুসা আমিনসহ তার পরিবার বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা প্রতিনিয়তই ভয়ের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বারবার এটি মিমাংসার চেষ্টা করলেও রফিকুল ইসলাম বান্টুর কারনে তা সম্ভব হয় নি বলে জানান তারা।
এঘটনায় রফিকুল ইসলাম বান্টুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জালিয়াতির কথা অস্বীকার করে বলেন ওই সম্পত্তি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট