পাকিস্তানের মাটিতে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আর যাদের উপর হামলার জেরে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ হয়েছিল সেই শ্রীলঙ্কার হাত ধরেই ক্রিকেট ফিরছে দেশটিতে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দল বহনকারী বাসে জঙ্গী হামলার পর থেকেই পাকিস্তান সফর থেকে বিশ্বের শীর্ষ দলগুলো বিরত থাকে। তবে নিজ দলের উপর এমন মারাত্মক হামলার আট বছর পর সেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডই (এসএলসি) দলের পাকিস্তান সফরের অনুমোদন দিয়েছে।
এসএলসি প্রধান থিলাঙ্গা সুমাথিপালা বলেন, ২০০৯ সালের হামলায় আট ব্যক্তি নিহত হলেও বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা মূল্যায়নের পর লাহোরে ‘অন্তত একটি’ সহ তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে দলকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
কোন দলকে বিদেশে পাঠাতে হলে যে কোন সফরের আগে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। লাহোর স্টেডিয়ামে যাওয়া পথে শ্রীলঙ্কা দল বহনকারী বাসে বন্দুকধারীদের হামলায় তাৎক্ষনিকভাবে অন্তত সাত ব্যক্তি নিহত হলে ২০০৯ সাল থেকে শীর্ষ ক্রিকেট দলগুলো পাকিস্তান সফর থেকে বিরত থাকে।
সুমাথিপালার উদ্ধৃতি দিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়,‘ ইতোপুর্বে আমাদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা পাকিস্তান সফর করে একটি মূল্যায়ন রিপোর্ট দিয়েছে এবং পুরো দেশের সার্বিক অবস্থা বিশেষ করে লাহোরের অবস্থা বেশ ইতিবাচক মনে হচ্ছে। ’
তিনি আরো বলেন,‘আগামী সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের তিন ম্যাচের একটি টি-২০ সিরিজ রয়েছে এবং যার মধ্যে অন্তত একটি আমরা লাহোরে খেলতে চাই। ’
২০০৯ সালে লাহোর হামলার পর থেকে কেবলমাত্র দুর্বল জিম্বাবুযে দল ২০১৫ সালে লাহোরে পাঁচ ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিজেদের ‘হোম’ বানাতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।
তবে গত মার্চে ব্যাপক নিরাত্তার মধ্যে পাকিস্তান সুপার লীগের(পিএসএল) ফাইনাল নিজ মাটিতে সফলভাবে আয়োজন করে আশাবাদী হয়ে ওঠে পাকিস্তান। গত সপ্তাহে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের(এসিসি) সভায় পাকিস্তানে নির্বাসন তুলে নিতে এবং সেখানে খেলার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান সুমাথিপালা।
এক সময় তামিল সমস্যার কারণে শ্রীলঙ্কাকেও দলগুলো বর্জন করত বলেও উল্লেখ করেন এসএলসি প্রধান। তবে সে সময় পাকিস্তান ও ভারতের লংকানদের পাশে দাঁড়ানোর কথাও স্মরণ করেন তিনি।