কোয়ার্টার-ফাইনালে জুভেন্তাসের কাছে হেরে গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছিল বার্সেলোনা। বুফোঁর বিরুদ্ধে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল মেসি দাপট।
সেই দুঃস্বপ্নের ম্যাচ এখনও ভুলতে পারেননি বার্সা সমর্থকরা। পাওলো ডায়বালার জোড়া গোল বার্সেলোনার যাবতীয় ঔদ্ধত্য ধূলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ন্যু ক্যাম্পে গিয়ানলুইগি বুফোঁকে হার মানাতে পারেননি লিওনেল মেসিরা।
মঙ্গলবার প্রতিশোধ নেওয়া নেওয়ার ম্যাচে জুভেন্টাসকে উড়িয়ে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় দারুণ সূচনা করল বার্সা। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে জুভেন্টাসকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
জুভেন্টাসের রক্ষণকে অবশ্য খুব একটা পরীক্ষায় পড়তে হয়নি প্রথমার্ধে। ৪৫ মিনিটে মেসি-মুহূর্তের আগ পর্যন্ত। মাঝমাঠের একটু পরে ডেমবেলের কাছ থেকে বল পেলেন মেসি। সেটা নিজে অনেকটা টেনে নিয়ে ডি-বক্সের সামনে এসে সুয়ারেজের সঙ্গে ‘ওয়ান-টু’ করে ঢুকে পরলেন বক্সে। বাঁ দিক থেকে তার ডানদিকের পোস্টঘেষা গড়ানো শট আটকানো সম্ভব ছিল না বুফনের পক্ষে। শুধু এমন এক মুহূর্তের কারণেই প্রথমার্ধটা জুভেন্টাস নয়, এগিয়ে থেকে শেষ করল বার্সেলোনা।
অথচ ম্যাচের শুরু থেকেই সুযোগ সৃষ্টি করেছে বেশি ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। বলের দখলে বার্সা এগিয়ে থাকলেও বারবার শটের সামনে পড়তে।
হয়েছে টের-স্টেগানকেই। ১৯ মিনিটে গিয়ে প্রথম শট নিতে দেখা গেছে সুয়ারেজকে। এর আগেই তিনটি গোলের সুযোগ পেয়েছে জুভেন্টাস। বাকী সময়টা দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেও কাজে লাগাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফিরতে পারত জুভেন্টাস। ৪৭ মিনিটে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেছেন পাওলো দিবালা। ৫২ মিনিটে মেসির শট পোস্টে লেগে ফিরে আসায় কিছুক্ষণের জন্য স্বস্তি পায় জুভেন্টাস।
এর মাঝে ৫৪ মিনিটে ঘটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া ঘটনা। পিয়ানিচ মেসিকে ফাউল করলে বাঁশি বাজান রেফারি। মেসি এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে হলুদ কার্ডের দাবি জানিয়ে রেফারির ঘাড়ে হাত দেন। এতে হলুদ কার্ড জোটে মেসির। মিনিট খানেক পরেই নিজের ক্ষোভ অন্যভাবে প্রকাশ করলেন মেসি। ডান প্রান্ত দিয়ে একের পর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে পাস দেন মেসি। সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে রাকিটিচের পায়ে বল তুলে দেন বদলি নামা ডিফেন্ডার স্তুরারো। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা। ব্যবধানটা ৩-০ হলো ৬৯ মিনিটে। এরপর অবশ্য জুভেন্টাস বেশ কয়েকবার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি।