সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী ছবি ‘পথের পাঁচালী’র মূল প্রিন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অব ইন্ডিয়ায় (এনএফএআই) এখন এর কোনও অস্তিত্ব নেই। অপু চরিত্রকে নিয়ে সত্যজিতের ট্রিলজির অন্য দুই ছবি ‘অপরাজিত’ ও ‘চারুলতা’র প্রিন্টও হারিয়ে গেছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
হারিয়ে যাওয়া চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ছবি রয়েছে। এ তালিকায় আরও উল্লেখযোগ্য— মৃণাল সেনের ‘ভুবন সোম’, গুরু দত্তের ‘কাগজ কে ফুল’, মেহবুব খানের ‘মাদার ইন্ডিয়া’, রাজ কাপুরের ‘মেরা নাম জোকার’ ও ‘আওয়ারা’।
শুধু ভারতীয় নয়, আন্তর্জাতিক অনেক ছবিও হারিয়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে সের্গেই আইনস্টাইনের ‘ব্যাটেলশিপ পটেমকিন’, ভিত্তোরিও ডি সিকার ‘বাইসাইকেল থিভস’, আকিরা কুরোসাওয়ার ‘সেভেন সামুরাই’, রোমান পোলানস্কির ‘নাইফ ইন দ্য ওয়াটার’ ও আন্দ্রেজ ওয়াজদার ‘অ্যাশেজ অ্যান্ড ডায়মন্ডস’। নির্বাক যুগের ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি ছবিও আছে হারিয়ে যাওয়া তালিকায়।
ভারতের তথ্য অধিকার (আরটিআই) আইনের অংশ হিসেবে এসব তথ্য জেনেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তারা জানায়, পুনের বেসরকারি সংস্থা ক্যামিও ডিজিটাল সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেড ২০১২ সালে এনএফএআই’র ১.৩ লাখ রিলে বারকোড দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল। এখন সেখানে সাড়ে ৫১ হাজার ক্যান ফিল্ম রিল এবং ৯ হাজার ২০০টিরও বেশি প্রিন্ট নেই। এছাড়া ৪ হাজার ৯২২টি ক্যানে ১ হাজার ১১২টি ছবির নাম রয়েছে, কিন্তু সেগুলো এনএফএআই’র নিবন্ধন তালিকাতেই নেই।
ছবি ছাড়াও ভারতের স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ের ঐতিহাসিক ঘটনার ফুটেজও পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে রয়েছে প্যারিসে মহাত্মা গান্ধীর সফর, করাচিতে ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেসের সমাবেশ, ১৯৬৯ সালে ভারত সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ভাষণ প্রভৃতি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস