প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন রাষ্ট্রপতির কাছে। আবেদনটির একটি কপি বিশ্বস্ত সূত্রে গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।
আবেদনে এস কে সিনহা বলেন, ‘মহাত্মন, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি গত বেশ কিছুদিন যাবত নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ভুগছি। আমি ইতোপূর্বে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন ছিলাম। বর্তমানে আমি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছি। আমার শারীরিক সুস্থতার জন্য বিশ্রামের একান্তই প্রয়োজন। ফলে আমি ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর, ২০১৭ খ্রি. পর্যন্ত ৩০ (ত্রিশ) দিন ছুটি ভোগ করতে ইচ্ছুক। এমতাবস্থায় আগামী ৩ অক্টোবর ২০১৭ খ্রি. হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটির বিষয়ে মহাত্মনের সানুগ্রহ অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’
আবেদনের ওপর ২ অক্টোবর তারিখ লেখা রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৫ আগস্ট থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত অবকাশকালীন ছুটি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এরপর ২ অক্টোবরই প্রধান বিচারপতির ছুটির বিষয়টি জানাজানি হয়। নিয়ম মেনেই প্রধান বিচারপতি ছুটি নিয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তবে বিএনপি অভিযোগ করছে, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ নন, তাকে জোর করে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতির সঙ্গে এমন আচরণ করা থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরকার অস্তিত্ব সংকটের ভীতিতে বেসামাল হয়ে পড়েছে।’
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বুধবার সচিবালয়ে বলেছেন, ‘আমি চাই প্রধান বিচারপতি সুস্থ হয়ে দায়িত্বে ফিরে আসুন।’