সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতী, চিতোরের রাজা রত্নসেন, দিল্লীর সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজি, রাজা দেবপাল- এসকল চরিত্র নিয়ে রচিত কাল্পনিক কাহিনীর কাব্যরূপ পদ্মাবতী।
ট্রেইলারে পরিচালক গল্পের তেমন কিছু প্রকাশ করেন নি। ট্রেইলার জুড়ে ফুটে উঠেছে সে সময়ের রাজপুতানী সংস্কৃতি। প্রতিটা ফ্রেম নিয়ে যায় ৭০০ বছর পেছনে। সেট তৈরি তে বিন্দু মাত্র কার্পণ্য করা হয় নি তা স্পষ্ট।
১৫৪০ সালে মালিক মুহাম্মদ জয়সি “পদুমাবৎ” রচনা করেন, যা মধ্যযুগের বাঙালি কবি আলাওল “পদ্মাবতী” নামে অনুবাদ করেন। সিংহলের অতুলনীয় সুন্দরী রাজকন্যা পদ্মাবতীকে বিয়ে করেন মেবার রাজ্যের রাজা রাজপুত রত্নসেন।
এদিকে পদ্মাবতীর সৌন্দর্যের কথা শুনে তাকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজি। খিলজির পদ্মাবতীকে পাওয়ার উন্মাদনা, রত্নসেনে তার স্ত্রীকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা পরিশেষে নিজের সম্মান বাঁচাতে পদ্মাবতীর জোহার পালন, এই হলো পদ্মাবতীর মূল গল্প।
পোষাকের ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়েছেন আরো এক ধাপ। পদ্মাবতী, রত্নসেন থেকে খিলজি সবার পোষাকে দেয়া হয়েছে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির ছায়া। পদ্মাবতীর রাজকীয় সাজ হোক কিংবা রন্তসেনের রাজপুত যোদ্ধার বেশ কিংবা খিলজির হিংস্র যোদ্ধা অবতার সব কিছুই যেন প্রতিটা চরিত্রের জন্য কথা বলে।
ট্রেইলারে তেমন কোন সংলাপ নেই, তবুও স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় কার কি চরিত্র। ট্রেইলারে আলোক সজ্জা অন্যতম আকর্ষণ। কোথাও আলোর আধিক্য নেই। প্রদীপ আর মশালের আলোর যে আভা থাকার কথা সেই আভা ধরে রাখার সফল চেষ্টা দেখা যায়।
তবে দীপিকার পোশাক নিয়ে এখন চলছে খুনসুটি। টাইম্স অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুসারে, তার পরিহিত প্রতিটি লেহেঙ্গার মূল্য ২০ লাখ টাকার উপরে, আর প্রতিটি লেহেঙ্গার ওজন ছিল ৩০ কেজি করে।
কিন্তু দীপিকা কখনও এই লেহেঙ্গা নিয়ে কোন প্রকার নারাজ বা রাগের মনোভাব দেখায়নি। সে প্রতিদিন খুশি মনে এই লেহেঙ্গা পড়ে অভিনয় করে কাটিয়েছেন।
প্রতিদিন প্রায় ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা এই ভারী লেহেঙ্গা পড়ে অভিনয় করেছেন দীপিকা। এভাবে ১০০ দিনের বেশি শুটিং চলেছে এই সিনেমার। তার অভিনয় শিল্পী অনেক আগে থেকেই প্রশংসনীয়, এবার বুঝা যাচ্ছে তার ধৈর্য শক্তির ও কোন কমতি নেই।