আশাশুনি ব্যুরো : জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন মানছেন না উপজেলার অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ২০০৯ আইন অনুযায়ী প্রত্যেকটি মুদি দোকানে পন্যের বাজার দর নোটিস বোর্ড টানিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও ভোক্তাদের ফাঁকি দেওয়ার জন্য তা অনেকেই খুলে রেখেছে, আবার অনেক ব্যবসায়ী জানেনই না ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ আইন কি?। আর একারণে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে উপজেলার সাধারণ মানুষ। উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখাগেছে, বুধহাটাসহ উপজেলার প্রতিটি বাজারে মুদি দোকান, হোটেল, রেস্তোরা ও চাউলের দোকানে নেই কোন বাজার দর নোটিস বোর্ড। পন্যের দাম ওঠা-নামা করলেও দোকানিদের দোকানে পন্যের দাম উর্দ্ধোগতি ছাড়া নিন্মগতির কোন আশাই করা যায় না। অত্র এলাকার চাষি ও ছোট ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে পন্য বা দ্রব্য উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করে থাকেন। এসময় বিক্রিত মাল একই স্থানে কয়েকবার বেচা-কেনা হয়ে থাকে। আর এক হাত থেকে আরেক হাত পরিবর্তন হলেই দামও এক হাত বেড়ে যায়। এভাবেই চলছে বুধহাটাসহ অত্র উপজেলার বিভিন্ন বাজারের বেচা কেনা। এতে করে মালের দাম নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষের। অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা ভোক্তাধিকার কেন্দ্র থেকে বাজার মনটরিং হলেও কিছু দিন যেতে না যেতে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীরা। এব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানাসহ জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দীন এর হস্তাক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী ক্রেতা সাধারণ ও উপজেলার সচেতন মহল।
পূর্ববর্তী পোস্ট