নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে গত ৩দিন ধরে চলতে থাকা থেমে থেমে ঝড়ো হওয়ার সাথে ভারী বর্ষণের ফলে সাতক্ষীরা জেলার নিন্মাঞ্চলসহ পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়ক হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের ও পুকুরের মাছ বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌর ৬নং ওয়ার্ডের কুখরালী টাবরারডাঙ্গী এলাকায় ব্যাপক জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে করে পানি বন্ধি হয়েছে ৬০ টির ও বেশি পরিবার। অধিকাংশ ঘর-বাড়ি হাঁটু পানিতে প্লাবিত হয়ে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ চড়মে পৌচেছে। এলাকার বাসিন্দা আল আমিন খান সুমন জানান, ঘরের মধ্যে হাঁটু পানি। ঘরে বসবাস করাই দুরহ হয়ে উঠেছে। রান্না খাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। টাবরারডাঙ্গী এলাকার নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান ভারী বৃষ্টিতে টাবরারডাঙ্গী এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ। পানিবন্দি হয়ে গরু ছাগল নিয়ে চড়ম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে মানুষ। চিংড়ি ঘেরে অবৈধভাবে নেট পাটা ও বেড়িবাঁধ দেওয়ার কারেন পানি সরার কোন উপায় নেই আমরা এই এলাকার কয়েকশ মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছি আজ তিন দিন দেখার কেউ নেই। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন, শহিদুল কাউন্সিলরের ঘেরসহ কয়েকটি মৎস ঘেরের ভিতর দিয়ে আগে এখানকার পানি এল্লারচরের খালে যেত, কিন্তু এবছর তারা পানি যেতে দিচ্ছে না খালের মুখ আটকে রেখেছে এ কারনে আমাদের বাড়ির উঠানে আজ তিন দিন যাবত পানি। এ বিষয়ে কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামের সাথে মোবাইলে (০১৭১-৫১৪৩২৪৭)-এ যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি পানি আটকাইনি। নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে পানি ঢুকেছিল। এখন পানি নেমে যাচ্ছে।”
পূর্ববর্তী পোস্ট