আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার ব্রহ্মরাজপুর বাজারের সড়কের ধারে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ৫টি শিরিস চটকা গাছ মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানকে চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জুবাইদা নাসরিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে গত ২১ আগস্ট তাকে বরখাস্ত করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত সার্ভেয়ার মোঃ হাসানুজ্জামান পটুয়াখালী জেলার বাওফল থানার বাওফল গ্রামের মোঃ সুলতান মাস্টারের ছেলে।
জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারের গাজী মার্কেটের সামনের সড়কের পূর্বপাশে দু’টি মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন ওই মাকের্টের সামনে সড়কের ধারে জলা পরিষদের মালিকানাধীন ৫টি মূল্যবান শিরিস চটকা গাছ রয়েছে। মার্কেটের মালিক শেখ ফারুক হোসেন ও গৌরাঙ্গ মল্লিক তাদের সুবিধার জন্য ওই পাঁচটি গাছ কেটে ফেলার জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানকে ম্যানেজ করে ফেলেন। মাকের্টের মালিক পক্ষের কাছ থেকে উৎকোচের বিনিময় সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে এই গাছগুলো কাটার ব্যবস্থা করেন। এজন্য তিনি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান এর কাছ থেকে গত ৯ আগস্ট একটি লিখিত আদেশ করিয়ে নেন। ওই আদেশের বলে গত ১৯ আগস্ট শুক্রবার সকালে হাসানুজ্জামান তার লোকজন নিয়ে গাছ গুলো কাটতে ব্রহ্মরাজপুর বাজারে যান। তিনটি গাছের ডালপালা কাটার পর স্থানীয় জনতা সার্ভেয়ারসহ তার লোকজনের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায় জনগণের প্রতিরোধের মুখে সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানসহ তার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ব্রহ্মরাজপর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস,আই আব্দুল কাদের ঘটনাস্থলে এসে গাছের কাটা ডালা-পালা গুলো তার নিজের হেফাজতে নিয়ে যান। পরদিন এঘটনায় স্থানীয়, আঞ্চলিকসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়।
এঘটনার পর গত ২১ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জুবাইদা নাসরিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানকে চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান তাকে বরখাস্তের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, তার কোন দোষ নেই। বিপদজ্জনক হওয়ায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষেই গাছ গুলো কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনসুর আহম্মেদ সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানকে চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা স্বীকার করে বলেন, জনগণের সুবিধার্থে গাছের ডাল-পালা কেটে ফেলা হচ্ছিল। গাছ কাটা হচ্ছিল না। সাংবাদিকরা পত্রিকায় মিথ্যে খবর প্রকাশ করেছে।