দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার সখিপুর ইউনিয়নের ইসমাইলের সংসার চাষ ও সবজি চাষে নির্ভর। সে উপজেলার দক্ষিণ সখিপুর গ্রামের মৃত. এজাহার সরদারের পুত্র। সংসারের অভাবের তাড়নায় পড়ালেখা করতে পারেনি ইসমাইল। তাই জীবন-জীবিকা পরিচালনার উৎস্য হিসাবে প্রথমে মাছ চাষ শুরু করেন। পরে একই মৎস্য ঘেরের বেড়িতে নানান সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা ফিরেছে। তার মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে সবজি চাষে বিপ্লব ঘটেছে। এ পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া, শিম, খিরাই, পুঁইশাক, ধুন্দুল, বরবটি ও করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে আয় যেমন কয়েক গুণ বেড়েছে তেমনি দেশে সবজির চাহিদা মেটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সহযোগীতা করছে। একই সাথে মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে ঢেঁড়শ, কলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজির চাষ হচ্ছে।
উপজেলার দক্ষিণ সখিপুর গ্রামের কৃৃষক ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি তার ৬ বিঘা জমির ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে এ চাষাবাদ করেছেন। বছরের বিভিন্ন মাস অনুযায়ী এভাবেই মাছের পাশাপাশি সবজি উৎপাদন চলবে।
ঘেরের পানি শুকিয়ে গেলে রোপণ করা হবে ধান। তার ৬ বিঘা ঘেরে নেট, বাঁশ ও কট সুতা দিয়ে মাচা তৈরিতে দশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু বাম্পার ফলনে ইতোমধ্যে ৭০ হাজারের বেশি টাকা আয় করেছেন। সামনে আরও আয় হবে। পাশাপাশি ১৫বিঘা জমিতে পানিফল চাষ করেছেন। যা মৌসুমী চাষ হিসাবে ব্যপক সাফল্য এনেছে। সংসার জীবনে প্রবেশের আগে থেকে মাছ চাষ এবং ৫/৬ বছর ধরে তার ভেড়িতে সবজি চাষ। কিন্তু সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা না পেয়ে নিজ উদ্যোগ আর ঋণের মাধ্যমে মাছ ও সবজি চাষ করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। সরকারি বেসরকারি ভাবে ঋণের সুবিধা পেলেই কৃষিতে আরো বিপ্লব বয়ে আনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ইসমাইল।
কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন জানান, যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে তার অধিকাংশ উৎপাদিত হয় মৎস্য ঘেরের আইলে অথবা মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে। যা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হয়। মাঁচা পদ্ধতিতে সবজি চাষ লাভজনক হওয়ায় এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ দিন দিন বাড়ছে
পূর্ববর্তী পোস্ট