এবারের বিপিএলটা দারুণ কাটছে সিলেট সিক্সার্সের। ম্যাচের পর ম্যাচ ভক্ত-সমর্থকদের বিস্মিত করে চলেছে আসরের নবাগত দলটি। আগের দুটি ম্যাচে হট ফেভারিট ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারানোর পর তৃতীয় ম্যাচে রাজশাহী কিংসকেও হারিয়েছে সিলেট সিক্সার্স। প্রথমে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড় দাঁড় করায় নাসির হোসেনের দল। জবাবে ৮ উইকেটে ১৭২ রানে শেষ হয় রাজশাহী কিংসের ইনিংস। ৩৩ রানের এই জয়ে তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটা আরো মজবুত করল সিলেট সিক্সার্স।
সিলেটের দেওয়া ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ৫ ওভারেই ৫০ রান তুলে লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছিল রাজশাহী। ষষ্ঠ ওভারে ১৬ বলে ২৪ রান করা মুমিনুল হক বিদায় নিতেই চাপে পড়ে যায় কিংসরা। এরপর রনি তালুকদার, মুশফিকুর রহিম ও সামি প্যাটেল ফিরে গেলে হারটা প্রায় আসন্ন হয়ে যায় রাজশাহীর। অন্যপ্রান্তে লুক রাইট লড়াইটা চালিয়ে যান। জেমস ফ্রাঙ্কলিনকে সঙ্গে নিয়ে ৫৫৪ রান যোগ করেন রাইট। ১৫তম ওভারে লুক রাইটকে ফেরান কামরুল ইসলাম রাব্বি। ৩৯ বলে ৫৬ রান করেন এই ইংলিশ ওপেনার।
লুক রাইট আউট হলে পুরোপুরি ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রাজশাহী কিংস। পরে ফ্রাঙ্কলিন, ড্যারেন স্যামি, ফরহাদ রেজারা কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন। ৩৫ রান করেছেন ফ্রাঙ্কলিন। সিলেটের আবুল হাসান রাজু ও লিয়াম প্লাঙ্কেট নেন তিনটি করে উইকেট।
এই হারে বেশ চাপে পড়ে গেল রাজশাহী। প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে হেরেছিল মুশফিক-স্যামিরা। দুটি ম্যাচে রাজশাহী তাদের খাতায় একটিও পয়েন্ট যোগ করতে পারেনি।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল স্কোর সংগ্রহ করেছে সিলেট সিক্সার্স। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো সময়টা অব্যাহত রেখেছেন সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। আগের দুটি ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করা উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচার এই ম্যাচেও ব্যাটসম্যানদের ওপর আধিপত্য ধরে রাখেন। মাত্র ১০ ওভারে শতরানের জুটি বাঁধেন তাঁরা। দলীয় ১০১ রানে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান আন্দ্রে ফ্লেচার। ৩০ বলে পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ে ৪৮ রান করেন তিনি। খানিকবাদে থারাঙ্গাও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ৩৭ বলে ৫০ রান করেন এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান।
ওপেনাররা ফিরলেও দানুশকা গুনাথিলাকার ২১ বলে ৪২ রানের ঝড়ে রানের বড় স্কোর গড়ে সিলেট। রস হুইটলি মাত্র ১২ বলে করেন ২৫ রান। এছাড়া সাব্বির রহমান ১৬ রান করেছেন।