ব্রিটেনের হেনরি পিটারসন গল্প লেখে। বইগুলো বেশ বিক্রি হয়। বইয়ের চরিত্রগুলো বেশ জনপ্রিয়। এমনকি এসব চরিত্র এখন বইয়ের মলাটের মধ্যে বন্দি নেই। বিভিন্ন পণ্য বা খেলনার ওপর আঁকা হচ্ছে এসব চরিত্রের কীর্তি।
এবার মূল কথায় আসা যাক। হেনরি পিটারসনের বয়স মাত্র ১৩! এরই মধ্যে তার লেখা বই সারা বিশ্বে বিক্রি হচ্ছে। ‘ইয়াং অ্যান্ড মাইটি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানও খুলেছে পিটারসন! নয় বছর বয়সেই নিজের লক্ষ্য স্থির করে নেয় হেনরি পিটারসন। আর ১৩ বছর বয়সের মধ্যেই সফল।
পিটারসনের এ কীর্তিতে ভারজিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন রীতিমতো মুগ্ধ। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই পিটারসনের সফল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার কথা জানিয়েছেন ব্র্যানসন তাঁর নিজের ওয়েবসাইটে।
হেনরি পিটারসন গল্পের বই লেখে। সে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব শেরব এবং পিপ’ নামে একটি বই লিখেছে। এই বইয়ের সব চরিত্র ব্যাগ, ওয়াশ ব্যাগ, নরম খেলনাতে দেখা যায়।
ব্র্যানসন লেখেন, “আমি আরো অবাক হয়েছি এটা জেনে যে যুবকদের উৎসাহিত এবং চিন্তাচেতনা শেয়ার করার জন্য ‘ইয়াং এবং মাইটি’ নামে সে একটি প্রতিষ্ঠান খুলেছে। ওর কাজের একটা মূলনীতিও আছে, ‘অনুরাগকে সম্ভাবনায় রূপ দাও’।”
ব্র্যানসন বলেন, ‘আমার কাছে বয়সের কোনো গুরুত্ব নেই। বয়স শুধু একটি সংখ্যা। বয়সের দোহাই দিয়ে নিজেকে থামিয়ে রাখা উচিত নয়। ১৬ বছর বয়সে আমি স্কুল ছাড়ি এবং আমি আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে স্টুডেন্ট ম্যাগাজিনে কাজ শুরু করি। এরপর আর আমাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আমি আমার স্বপ্নের প্রতি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিলাম। আমার জন্য সবচেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় ছিল এই যে আমার বাবা-মা আমার উদ্যোগটিকে গ্রহণ করেছিলেন এবং আমার উদ্যোগ বাস্তবায়নে সাহায্য করেছিলেন। আমার উদ্যোগ বিফলে যায়নি এটি পরবর্তী প্রজন্মকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। সম্প্রতি ১৩ বছর বয়সী উদ্যোক্তা হেনরি পিটারসনের সঙ্গে আমার দেখা হয়। হেনরির বয়স যখন নয় বছর, তখন সে তার লক্ষ্য নির্ধারণ করে। সত্যি বলতে আমি তার চিন্তাচেতনায় মুগ্ধ হয়েছি।’
ব্র্যানসন বলেন, ‘মূলত তুমি যদি জান কোনটা তুমি পার বা পারবে, তাহলে তুমি পর্বতকেও জয় করতে পারবে।’