নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ৫৬নং খাজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে একটি রেজুলেশন পত্রে স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে সিল, প্যাড, প্রধান শিক্ষকের নিজ নামের চেক ও অফিসের জরুরি কাগজপত্রসহ শিশুদের জন্য সরকারি ১০কার্টুন বিস্কুট আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)রাহাজ্জাহান আলী নিজে বাদী হয়ে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমকে ১নং আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরো ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, পিরোজপুর গ্রামের ওমর আলী সরদারের ছেলে রিপন সরদার, খাজরা গ্রামের কাশেম সরদারের ছেলে নওয়াব আলী সরদার, মৃত সৈলেন্দ্র ঘোষের ছেলে অসীত বরণ ঘোষ, সাধন চন্দ্র ঘোষের ছেলে পংকজ ঘোষ ও দূর্গাপুর গ্রামের আছিরুদ্দিন গাজীর ছেলে লাভলু গাজী। মামলার বিবরণে জানাযায়, খাজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাহাজ্জাহান আলী স্কুলের বিদ্যুৎসাহী কমিটি গঠন করে তা অনুমোদনের জন্য গত ১০ অক্টোবর স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে প্রেরণ করেন। এঘটনায় আসামী নওয়াব আলী সরদার অসন্তুষ্ট হয়ে নিজেই সভাপতির পদ গ্রহণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। একপর্যায় ১৭ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে স্কুলের অফিসে থাকা অবস্থায় ১নং আসামীর হুকুমে অন্যান্য আসামীরা অফিস কক্ষে ঢুকে তাকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি তাকে মারপিট করে। এসময় তারা অসীত বরণ ঘোষকে সম্পাদক করে তৈরি করা একটি রেজুলেশন পত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। আসামীরা অফিসের আলমীরা থেকে স্কুলের সীল, প্যাড, জরুরি কাগজপত্র ও শিশুদের সরকারি ১০ কার্টুন বিস্কুটসহ তার নিজের নামীয় একটি চেক নিয়ে আত্মসাৎ করে। পরে আসামীরা তাকে টেনে হেছড়ে স্কুলের বাইরে এনে একটি মটর সাইকেলে করে খাজরা বাজারের পশ্চিম পাশে রাস্তার ধারে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে একটি চেকে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তার আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। এব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রহমান জানান, স্কুল শিক্ষক রাহাজ্জাহান আলীকে মারপিটের ঘটনায় তার দেওয়া এজাহারটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। তবে কার কার নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে কারো নাম প্রকাশ করবেন না।
পূর্ববর্তী পোস্ট