হলিউড কিংবা বলিউড সব জায়গাতেই সিনেমাতে নানা রকমের উন্নত প্রযুক্তির গাড়ি, কার, ফ্যাশনেবল ভেহিকল বা যানবাহন ব্যবহার করা হয়। এমনকি সিনেমায় অনেক সময় এমন কিছু যানবাহন ব্যবহার করা হয় যেগুলোর অস্তিত্ব বাস্তবে নেই। কিন্তু সব সিনেমায় এমনটা হয় না। কিছু কিছু ছবিতে বাস্তবের সঙ্গে মিল রেখে হ্যালফ্যাশনের গাড়ি ব্যবহার করা হয়। এমনই একটা গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল বলিউডে। গাড়ির নামের সঙ্গে মিল রেখে ছবির নামকরণ করা হয়েছিল ‘টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার’।
এই ছবি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল বা এসইউভি ব্যবহার করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি সুপার কার। যার জন্মস্থান জার্মানিতে। গাড়ি কেন্দ্রীক ওই ছবিতে অভিনয় করেন অজয় দেবগন, আয়শা টাকিয়া এবং বৎসল শেঠ। এ ছাড়াও ছিলেন ফরিদা জালাল, শক্তি কপূর, অমরিশ পুরির মতো কলাকুশলীরা।
কিন্তু গল্পের দিক থেকে যত ‘ইউনিক’ই হোক না কেন সেই সিনেমা, বক্স অফিসে যে তেমন কোনও ভেলকি দেখাতে পারেনি তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু যে ঝাঁ চকচকে, ধামাকদার গাড়িটি নিয়ে এত কিছু, এত হৈচৈ, সেটির অবস্থা এখন কেমন?
সম্প্রতি বিক্রম নামের একজন ফেসবুক ইউজার এই গাড়িটির সন্ধান পেয়েছেন। সিনেমায় যে গাড়িটি দেখানো হয়েছিল এটায় হলো সেই গাড়িটি। গাড়িটি এখন মুম্বাইয়ের একটি গ্যারেজ ধুঁকছে। বেগুনি রঙের এই গাড়িটির রঙ উঠে এখন ধুসর। ছবির নায়ক-নায়িকা আয়েশা টাকিয়ার ক্যারিয়ারের মতোই দশা ‘টারজান’-এর। এটি এখন আর ব্যবহৃত হয় না। ধুলোজমে ইঞ্জিন প্রায় বিকল।
বলা হচ্ছে যে, সিনেমার ফ্লপের কারণে, আজ পর্যন্ত বাজারে এই গাড়িটি লঞ্চ করা হয়েনি। সিনেমার ব্যর্থতার কারণে এখন গাড়িটি আবর্জনায় পড়ে রয়েছে। এই গাড়ি তুলনা করা হতো ২০০৪ এর মিত্সুবিশি Eclipse এবং ফেরার ৩৪৮ সাথে।
জানা যায়, এই গাড়ি বিখ্যাত ডিজাইনার দিলীপ ছাবড়িয়া ডিজাইন করেছিলেন এবং এটি সম্পূর্ণ করার জন্য মোট আট মাস লেগেছিল। সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর গাড়ি বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন এই গাড়িটির মূল্য ছিল ২ কোটি টাকা। কিন্তু তখন কোনও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। ২০০৬ সালে ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তাও সম্ভব হয়নি।