এম বেলাল হোসাইন : আগামিকাল মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা মায়ের সূর্য সন্তানেরা পাক বাহিনীর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনে। যে কারণে আজ আমরা পেয়েছি স্বাধীন ভুখ-। পেয়েছি কথা বলার অধিকার, পেয়েছি বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার মত মর্যাদা। এ মহান দিনটি যথযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন গ্রহণ করেছে বিভিন্ন কর্মসূচি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে স্কুল/কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও প্রবীন ক্রিকেন্ট টুর্নামেন্ট। দুপুর আড়াই টায় শিশু একাডেমী প্রাঙ্গণে লোক নৃত্য, দেশাত্মবোধক সংগীত ও সকল শ্রেণির শিশুদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা ও প্রতিবন্ধী শিশুদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বে-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাঠ, বাসভবন ও অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান। ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর প্রধান প্রধান সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দ্বারা সজ্জিত করণ। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮. ১৫ মিনিটে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের রূহের মাগফেরাত এর জন্য মোনাজাত। পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার, কারারক্ষী, রোভার, স্কাউট, স্কাউট গার্লস গাইড, শহরের অন্যান্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী। সকাল ১০টায় রক্তদান কর্মসূচি। ১০.১৫ মিনিটে শহিদ আব্দুর রাজ্জাকের মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন। সাড়ে ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা। সাড়ে ১১টায় সাঁতার প্রতিযোগিতা ও হাঁসধরা প্রতিযোগিতা। বেলা দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, সরকারি শশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নত মানের খাবার সরবরাহ। জোহরের নামাজ অন্তে সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির জন্য আলোচনা ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে আলোচনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ/আত্মদানকারী/ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত। সুবিধামত সময়ে বিশেষ প্রার্থনা। দুপুর আড়াইটায় প্রদর্শনী ভলিবল প্রতিযোগিতা, কাবাডি প্রতিযোগিতা। দুপুর ৩টায় মহিলাদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান। বিকাল ৪টায় সৌখিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশ। বিকাল সাড়ে ৪টায় বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যায় আলোক সজ্জা, সন্ধ্যা ৬টায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক শহিদ মিনারে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৫ ডিসেম্বর হতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত খুলনা রোড মোড়, নিউ মার্কেট মোড় ও শহিদ রাজ্জাক পার্কে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শন। সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ/সাহিত্য সাময়িকি ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং সুবিধা মত সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট