মানবপাচার ও অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে মালয়েশিয়ায় এক ‘হোতা’সহ ১৭২ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এর মধ্যে মালয়েশিয়া সেকশন ২৮ শাহ আলম এলাকা থেকে ৫১ জন এবং সুবং জয়াতে ১২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তফার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আবদুল রউফ নামের এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে মানুষকে মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে নিয়ে এসেছেন। তিনি এখানে ‘এবং বাংলা’ নামেও পরিচিত।
এই চক্রের মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বয়স ২০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৪৮টি পাসপোর্ট এবং ১৩ হাজার রিঙ্গিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাচারকারীরা বাংলাদেশিদের প্রথমে বিমানে করে ঢাকা থেকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে তাদের মালাক্কা প্রণালির এক জায়গায় এনে রাখা হয়। সুযোগ সময়মতো তাদের সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় ঢোকানো হতো। এজন্য প্রত্যেক বাংলাদেশির কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার রিঙ্গিত (তিন লাখ ১৪ হাজার টাকা থেকে চার লাখ ১৮ হাজার টাকা) নেওয়া হতো।
দাতুক সেরি মুস্তফার আরো জানান, কেউ টাকা দিতে না পারলে তাঁকে সেখানেই রেখে দেওয়া হতো। টাকা বুঝে পাওয়ার পরই তাদের মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হতো।
২০১৩ সালে ইটভাটায় কাজ করতে মালয়েশিয়ায় যান রউফ। তাঁর বিরুদ্ধে মানবপাচারবিরোধী আইনে মামলা হবে। বাকিদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনে মামলা হবে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়ার সুবং জয়াতে আলাদা এক অভিযানে ১২১ বাংলাদেশি, ৬০ ভারতীয় ও দুই পাকিস্তানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান মুস্তফার। তিনি বলেন, তারা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট ও অবৈধ সেক্টরে কাজ করাসহ বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত।