নিজস্ব প্রতিবেদক: সদর উপজেলার লাবসায় সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসী ধর্ষক মজিদ পাটোয়ারীকে হাতেনাতে ধরে গাছে বেঁধে রাখেন। কিন্তু আটক ধর্ষককে কিছু সময়ের মধ্যে ছাড়িয়ে নিয়ে যান যুবলীগের এক নেতার নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ওই শিশুর মা বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলার বাদি জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে প্রতিবেশী মজিদ পাটোয়ারীর বাড়ির উঠোনে তার শিশুকন্যা খেলা করছিল। ওই সময় মজিদ পাটোয়ারী তাকে মুড়ি খেতে দেওয়ার নাম করে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় চিৎকার শুনে তিনিসহ আশপাশের লোকজন সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করেন। জড়ো হওয়া লোকজন ঘটনা বুঝতে পেরে ধর্ষক মজিদ পাটোয়ারীকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। এদিকে, ধর্ষিত শিশুটির চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন তার মা। এই সুযোগে সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাপ্পীসহ প্রভাবশালীরা ধর্ষক মজিদ পাটোয়ারীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। এর পর আর মজিদ পাটোয়ারীর খোঁজ মেলেনি। মামলার বাদি আরো জানান, শিশুটিকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার সকালে তাকে সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে এখনো ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে শিশুটি। বুধবার সন্ধ্যায় মজিদ পাটোয়ারীকে আসামি করে থানায় এজাহার দাখিল করেন ধর্ষিত শিশুটির মা। সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেলের (ওসিসি) প্রোগ্রাম অফিসার মো. আবদুল হাই সিদ্দিক শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে লিখিতভাবে নিশ্চিত করেছেন। শিশুটিকে মনো-সামাজিক কাউন্সেলিংও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) লিখেছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্যা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় অভিযোগ পেয়েই ৯/১ ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩। তিনি আরো বলেন, ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।