ভারতের শিলংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ‘ফরেন অ্যাক্ট’ মামলার রায় ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে। গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে শিলং থেকে টেলিফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমার মামলার রায় নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। যা মোটেও ঠিক নয়। আমার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ মামলার রায় হচ্ছে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে। আশা করছি, আমি ন্যায়বিচার পাব। দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।’
গতকাল ফেসবুকে পাওয়া গেছে, ‘ভারতের শিলং প্রদেশের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। দেশে আসতে আর কোনো আইনি বাধা নেই তার।’ এ তথ্যের বাস্তবতা নেই বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি ভারতের শিলং শহরের ক্যান্টনমেন্টের পাশে একটি ছোট্ট ডুপ্লেক্স কটেজ ভাড়া নিয়ে থাকছেন। সেখানেই তার সময় কাটে। ডাক্তারের নির্দেশনা মতো খাওয়া-দাওয়া করছেন। কিছুদিন পর পর বাংলাদেশ থেকে সহধর্মিণী হাসিনা আহমেদ সন্তানদের নিয়ে স্বামীকে দেখতে যান। সর্বশেষ গত ঈদুল আজহার আগে শিলং গিয়েছিলেন হাসিনা আহমেদ।
কীভাবে সময় কাটে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিনের সহধর্মিণী হাসিনা আহমেদ বলেন, ইবাদত-বন্দেগি, নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত আর অনলাইনে দেশের খবরাখবর দেখে তার সময় কাটে। এর বাইরে তিনি প্রচুর বই পড়েন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন দ্রুত তাকে মুক্তি দেন। প্রসঙ্গত, বিএনপির সরকারবিরোধী অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ‘অজ্ঞাত স্থান’ থেকে দলের পক্ষে বিবৃতি দিতেন দলের তখনকার যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন। বেশ কিছুদিন দলের মুখপাত্র হিসেবে এমন দায়িত্ব পালন করার মধ্যেই ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে হঠাৎ নিখোঁজ হন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। নানাভাবে বিএনপি ও তার পরিবারের সদস্যরা চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার সন্ধান দিতে পারেনি। নিখোঁজের দুই মাস পর ১২ মে ভারতের শিলংয়ে সালাহউদ্দিনের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি।