নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশপুত্র দশম শ্রেণির ছাত্র সাকিব হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার মোটিভ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার রনি বিচারিক হাকিম রাজীব রায়ের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে সামিউজ্জামান অমি প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ২৭ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আটকরা হলেন- শহরের কামাননগরের হাফিজুল ইসলাম (৬০), মেহেদি হাসান ফয়সল (১৫), যোবায়ের হোসেন (১৮), কামালনগরের সেলিম সরদারের ছেলে রনি সরদার (১৮), শাহিনুর (২৪) ও ইটাগাছার আবু হাসান (৩৮)।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরতলীর বকচরা বাইপাস সড়কে ভ্যানচালক রমজান আলীর বাড়ির পাশে হামলায় নিহত হয় নাজমুল হোসেন সাকিব (১৬)। তিনি পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও পলাশপোল মেহেদীবাগে বসবাসরত কলারোয়া উপজেলার সরসকাটি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত সিপাহী নজরুল ইসলামের ছেলে।
নিহত সাকিবের বন্ধু সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহরের রসুলপুরের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুর রাশেদ জানান, তিনিসহ তার দুই সহপাঠী অমি ও সাকিব মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বকচরা আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে ইছালে সওয়াব মাহফিল শুনতে যান। কামালনগরের রনির প্রেমিকার সঙ্গে সাকিবের পুরনো প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মাদ্রাসা মাঠের সামনে একটি স্টলে কামালনগর কলোনীর রনি, আব্দুল কাদের ও শান্তর সঙ্গে তারা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হলেও স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাশেদ, সাকিব ও অমি বাড়ি ফেরার পথে বাইপাস সড়কের বাসিন্দা ভ্যানচলক রমজানের বাড়ির কাছে পৌঁছানো মাত্র পিছন দিক থেকে রনি, কাদের ও শান্তসহ কয়েকজন তাদের উপর গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটানো শুরু করে। হামলার একপর্যায়ে অমি পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা গুরুতর জখম সাকিব ও রাশেদকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সাকিবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, পুলিশ সদস্যের ছেলে হত্যার ঘটনায় পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোটিভ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় খুনি রনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
অন্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি জানান।
পূর্ববর্তী পোস্ট