আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলা অধিকাংশ সড়কের ধার সংস্কারের অভাবে সড়কগুলো ধ্বস নেমে দিন দিন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উপজেলাবাসী সড়কগুলোর রক্ষায় দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘূরে দেখা গেছে কাদাকাটি টু তেতুলিয়া সড়কের অধিকাংশ স্থানের দু’ধারের মাটি পানির আঘাতে ভেঙ্গে পড়েছে। সংস্কার না হওয়ায় সড়কগুলোতে ধ্বস নামার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। একারণে সড়কে ভারী থেকে মাঝারী যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া আশাশুনির কুল্যা টু বাঁকা সড়ক, গোয়ালডাঙ্গা টু প্রতাপনগর ও বড়দল সড়ক, বড়দল টু খাজরা সড়ক, আশাশুনি টু কোলা ঘোলা সড়কসহ বিভিন্ন মৎস্য ঘের সংলগ্ন এলজিইডি সড়কের দু’ধারের মাটি পানির ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়ায় সড়ক ধ্বস নামার আশঙ্কা বেড়ে এর ক্ষতিকর প্রভাবে সড়কগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ এখনও দেখা যায়নি। এসকল সড়কের দু’পাশের অধিকাংশ স্থানে মৎস্য ঘের এবং তা বর্তমানে পানি কমিয়ে মাছ ধরার সময়। এমতাবস্থায় এলজিইডি কর্মী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মসূচির কর্মী দিয়ে এসকল সড়কের দু’ধারের মৎস্য ঘের থেকে মাটি কেটে সড়কের ধারে দিলে সড়ক ধ্বস থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। উপজেলাবাসীর দাবী মৎস্য ঘের সংলগ্ন সড়কগুলোর ধারে স্থায়ীভাবে সিমেন্টের জামানো ব্লক বসিয়ে সড়কগুলো ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করা হোক। এব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেনের সাথে কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আশাশুনি উপজেলার অধিকাংশ সড়কের দু’ধারে মৎস্য ঘের। সড়কের ধারের ঘের মালিকরা তাদের ঘেরের ৩দিকের রিং বেড়ী (আইল) দিয়ে থাকেন কিন্তু সড়কের ধারের রিং বেড়ি দেন না। আর এ কারণে মৎস্য ঘেরের পানি ঢেউয়ের আঘাতে সড়কের পাশের মাটি ভেঙে যায়। যার কারণে সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি ঐসকল সড়কগুলো রক্ষায় স্থায়ীভাবে ব্লক বসানোর।
পূর্ববর্তী পোস্ট