মিউনিখে নিজেদের মাঠে তুর্কী ক্লাব বেসিকতাসের বিপক্ষে গোল উৎসব করেছে বায়ার্ন। ম্যাচ শুরুর ১৬ মিনিটেই লাল কার্ড পায় বেসিকতাস।
এদিন সময় থমাস মুলারকে ডি বক্সের সামনে রুখতে গিয়ে ফেলে দেন বেসিকতাসের দোমাগোজ ভিদা। রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান তাকে। বাকি সময় দশজনের বেসিকতাসকে নিয়ে ছেলেখেলা খেলেছে বায়ার্ন।
৪৩ থেকে ৮৮ মিনিটের মধ্যে পাঁচ-পাঁচবার তুরস্কের ক্লাবটির জালে বল জড়িয়েছে হেইঙ্কেসের শিষ্যরা। তাতে ৫-০ গোলে বেসিকতাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল জার্মান জায়ান্টরা।
১৬ মিনিটেই ব্লাক ঈগলরা দশজনের দলে পরিণত হলেও ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ এরিনায় ৪৩ মিনিটের আগে জালের নাগাল পায়নি বায়ার্ন। এ সময় বামপ্রান্ত থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান কিংসলে কোমান। ততোক্ষণে ডি বক্সের মধ্যে জটলা পাকিয়ে যায়। জটলার মধ্যে বল বাড়িয়ে দেন কোমান। বল পেয়ে যান ডেভিড আলবা। তিনি কাট করে বল দেন থমাস মুলারকে। মুলার বল পেয়েই ঘুরে শট নেন। বল গোলরক্ষের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে গিয়ে জালে আশ্রয় নেয়। প্রথমার্ধে এই একটি গোলই হয়।
বিরতির পর ৫২ মিনিটে কিংসলে কোমান গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এ সময় রবার্ত লেভানডোস্কির বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল পান কোমান। ৬৬ মিনিটে মুলার তার জোড়া গোল পূর্ণ করলে বায়ার্ন এগিয়ে যায় ৩-০ ব্যবধানে। এ সময় আরিয়েন রোবেনের কাছ থেকে বল পেয়ে যান জশুয়া কিমিচ। তিনি ডানপ্রান্ত থেকে উঁচু করে বল বাড়িয়ে দেন আগে থেকেই গোলমুখে থাকা মুলারকে। উড়ে আসা বলে পা লাগিয়ে জালে পাঠান আনমার্ক মুলার।
পরের গল্পটুকু শুধুই পোলিশ তারকা রবার্ত লেভানডোস্কির। ৭৯ মিনিটে লেভানডোস্কি তার প্রথম গোলটি করেন। এ সময় ম্যাট হামেলস ২০ গজ দূর থেকে জোরালো শট নেন। তার শট ফিরিয়ে দেন বেসিকতাসের গোলরক্ষক ফাবরি। বল গোলরক্ষের একটু সামনে পরে। গোলরক্ষক যতোক্ষণে উঠে দাঁড়ান তার আগেই দৌড়ে গিয়ে শট নিয়ে বলকে তার গন্তব্যে পাঠান লেভানডোস্কি (৪-০)। ৮৮ মিনিটে থমাস মুলারের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন পোল্যান্ডের এই তারকা। তাতে ৫-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাভারিয়ানরা।
১৪ মার্চ ফিরতি লেগে বেসিকতাদের মাঠ ভোডাফোন এরিনায় খেলতে যাবে বায়ার্ন। সেমিফাইনালে যেতে হলে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে বায়ার্নের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জিততে হবে তুরস্কের ক্লাবটিকে। যা শুধু কঠিনই নয়, অসম্ভবও বটে।