নিজস্ব প্রতিবেদক: মোটর সাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জনতা ৪জন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সোমবার ভোরে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের মাঝেরপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৪), তার ভাই সিরাজুল ইসলাম (২৮), একই গ্রামের মৃত আফছার আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (২৮) ও শেখ মিজানুর রহমানের ছেলে শহীদুজ্জামান রাজা (৩০)। বাঁশদহা গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে নাজমুল বাসার জানান, সোমবার ভোর চারটার দিকে বাড়ির গ্রীলের দরজার চারটি তালা ভেঙে ঘরের দরজা ভাঙার পর একদল দুর্বৃত্ত তার বাড়িতে ঢোকে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার সাতক্ষীরা- ল-১১=২৯৭৯নং এপাচি মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে উঠে বাড়ির পাশে রাস্তার উপর দুর্বত্তদের ফেলে যাওয়া একটি গামছা দেখে তাদের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে গামছাটি প্রতিবেশি আলমগীরের বলে সকলে সনাক্ত করে। এর সূত্র ধরে আলমগীরকে স্থানীয় বাড়ি থেকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে মোটর সাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আজিজুর, তার ভাই সিরাজুল, শহীদুজ্জামান রাজা ও একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ফারুক হোসেনসহ যশোরের অস্ত্রধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত জড়িত থাকার কথা বলে। সে অনুযায়ি আজিজুল, সিরাজুল ও শহীদুজ্জামানকে আটক করা গেলেও ফারুক পালিয়ে যায়। পরে চারজনকে গণধোলাই দিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। থানায় মামলা হচ্ছে জানতে পেরে ফারুক পলাতক অবস্থায় মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নাজমুল। সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক আব্দুল মালেক জানান, আটকের পর জনতার গণধোলাইয়ের শিকার চার মোটর সাইকেল চোরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আটককৃতরা এলাকার আরো দু’টি মোটর সাইকেল চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় গৃহকর্তা নাজমুল বাসার বাদি হয়ে আটককৃত চারজন ও ফারুক হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সোমবার বিকেলে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট