মেয়ের বয়স ১৫ বছর। অপরিণত বয়সে তিনি তার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে অভিভাবকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নিলেন বাবা। সাতক্ষীরা শহরের অদূরে বাঁকাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ব্যর্থতার দায় ঘাড়ে নিয়ে বাবা মারুফ হোসেন তার চার সন্তানের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার চার সন্তান। তাদের নিয়ে বেশ শান্তিতে ছিলেন তিনি। কিন্তু মেয়ে হিরা খাতুনের বয়স ১৫ হতেই তার (মারুফের) শ্বশুর আবদুল খালেক, শাশুড়ি সালেহা বেগম এবং তার স্ত্রী মেয়েকে বিয়ে দিতে তোড়জোড় চালায়। এতে বাধা দেন তিনি। তিনি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ১৮ এর আগে বিয়ে নয়। এ নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়েছে অনেক। অবশেষে হেরে গেছি। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।
রাগে ক্ষোভে ও দুঃখে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের কাছে মূল্যহীন। তাই আমি আমার চার সন্তানের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলাম।’