ফাইনালের আমেজ ছড়াচ্ছিল ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনা ও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের লড়াই। যেখানে পয়েন্টের ব্যবধান কেবল ৫, সেখানে শীর্ষ দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে তো এমন উত্তেজনা থাকাটা স্বাভাবিক। তবে লিওনেল মেসি গড়ে দিলেন পার্থক্য, কাতালানরা জিতলো ১-০ গোলে। তার চমৎকার ফ্রিকিক গোলে অ্যাতলেতিকোকে ৮ পয়েন্ট পেছনে ফেলে লা লিগার শীর্ষস্থান ধরে রাখলো বার্সেলোনা।
২৭ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে কাতালান জায়ান্টরা। ৬১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অ্যাতলেতিকো। এই জয়ে লা লিগা শিরোপার লড়াইয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে এরনেস্তো ভালভারদের শিষ্যরা।
বড় ম্যাচে রক্ষণ সামলাতে হয় কীভাবে, সেটা ভালোই জানেন দিয়েগো সিমিওনি। তাই শুরু থেকে বাধা পেতে হয়েছে মেসি-সুয়ারেসদের। যদিও ২১ মিনিটে চমৎকার দক্ষতা দেখিয়ে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অ্যাতলেতিকোর ডিবক্সে ঢুকে যান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু তার মাটি কামড়ানো দুর্বল শট সহজে রুখে দেন ওবলাক।
বার্সার আক্রমণভাগ ঠেকাতে পারলেও ২৫ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করার মাশুল দিতে হয়েছে মাদ্রিদের ক্লাবকে। আর্জেন্টাইন তারকাকে পার্টে ফাউল করলে ফ্রিকিকের বাঁশি বাজান রেফারি। বাঁপায়ের অসাধারণ শটে প্রতিপক্ষের রক্ষণ দেয়ালের ওপর দিয়ে জালে জড়ান মেসি। ওবলাক বলে হাত লাগালেও পারেননি তাকে গোলবঞ্চিত করতে। এমন চোখ ধাঁধানো গোলে মেসিকে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান অ্যাতলেতিকোর অধিনায়ক দিয়েগো গদিন।
পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই গোলে স্পর্শ করেন মাইলফলক। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৬০০তম গোল। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৬১ গোল করা মেসির এটি ছিল ক্লাবের জার্সিতে ৫৩৯তম। ৭৪৭ ম্যাচে এই কৃতিত্ব গড়লেন তিনি।
৩৪ মিনিটে সুয়ারেস ও ফিলিপ কৌতিনিয়োর সমন্বয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো বার্সা। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান তারকার শট দুর্বল হওয়ায় ওবলাকের বাধা পেরোতে ব্যর্থ হয়। এর তিন মিনিট আগে মেসিকে হলুদ কার্ড দেখালে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ন্যু ক্যাম্প।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে সব চেষ্টা করেছিল অ্যাতলেতিকো। কিন্তু পায়নি তারা গোলের দেখা। দিয়েগো কস্তা ও আন্তোয়ান গ্রিয়েজমানের আক্রমণভাগের সময় কেটেছে নিষ্প্রভ। ৮৬ মিনিটে কস্তার পাস থেকে গামেইরো গোল করলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়। তার ৯ মিনিট আগে সুয়ারেসের গোলটিও একই কারণে বাতিল হয়। ইএসপিএনএফসি