উড়ন্ত বিমানে নগ্ন হয়ে পর্নো দেখার পাশাপাশি বিমানবালার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন দিদার আলী মাহমুদ (১৯) নামের এক যুবক। এসময় কেবিন ক্রুরা তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
কিন্তু রবিবার ধনাঢ্য বাবা তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবি করে মুক্ত করে নিয়ে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে।
এদিকে এই ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে যুবকটি উলঙ্গ হয়ে বিমানের আসনে বসে আছেন। বিষয়টি নিয়ে মালয়েশিয়া জুড়েও চলছে সমালোচনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দিদার আল মাহমুদের বাসা রাজধানীর উত্তরায়। এক বছর ধরে তিনি মালয়েশিয়ার মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন। তিনি শনিবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় আসা মালিন্দো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটের (ওডি-১৬২) যাত্রী ছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বিমানটি যখন আকাশে তখন তিনি এক বিমানবালার দিকে ছুটে গিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তাঁর ছোটাছুটিতে ফ্লাইটের ভেতর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে ক্রুরা তাঁকে ধরে সিটে বসালেও যুবকের পাগলামি থামেনি। তিনি নগ্ন হয়ে বসে উচ্চ শব্দে ল্যাপটপে পর্নো ভিডিও দেখতে থাকেন।
ক্রুরা ফের বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলে দিদার নগ্ন হয়েই ফ্লাইটের ভেতর ছোটাছুটি করতে থাকেন। একপর্যায়ে দিদারকে হাতকড়া পরিয়ে সিটের সঙ্গে আটকে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিমানটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তাঁকে সোপর্দ করা হয় বিমানবন্দর থানায়। বিমান কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজসহ একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেয়।
এদিকে রবিবার দুপুরে যুবকের বাবা ফারুক আল মাহমুদ ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। তিনি বলেন, আদালতে দিদারের মানসিক ভারসাম্যহীনতার তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হলে আদালত বিষয়টি বিবেচনা করেছেন।
বিমানবন্দর থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অভিযুক্ত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। থানার ভেতর তিনি উলঙ্গ হয়ে ছোটাছুটি করেছেন। আদালতের মাধ্যমে যুবককে তাঁর বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।