স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ৭ মার্চের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারীদের শ্লীলতাহানির ভিডিও ফুটেজ হাতে এসেছে। তিনি বলেন, ‘ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধী যে দলেরই হোক ছাড় দেওয়া হবে না।’
বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্র্যাক স্কুল অব পাবলিক হেলথের আয়োজনে ‘প্রোমোটিং এডালসেন্ট নিউট্রিশন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বক্তব্য রাখেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বুধবার বাংলামোটরে ভিকারুননিসা নুন স্কুলের শিক্ষার্থীকে হয়রানির ঘটনার ভিডিও ফুটেজ হাতে এসেছে। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
বুধবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শাহবাগের আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় ইভ টিজিং ও নারীদের ওপর যৌন হয়রানির অভিযোগের খবর ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাগুলো সত্য নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আবার অনেকেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি ফেসবুক আইডি থেকে হয়রানির অভিযোগ করলেও পরে তা সরিয়ে ফেলা হয় এবং নতুন আরেকটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। বুধবার (৭ মার্চ) রাত ১১ টা ১১ মিনিটে দেওয়া পরের স্টাটাসে ওই স্ট্যাটাসে লেখা হয়, ‘ভালো আছি, সুস্থ আছি। পোস্টটা অনলি মি করেছি, কারণ পোস্টটা রাজনৈতিক উস্কানিমূলকভাবে শেয়ার করা হচ্ছিল। আমি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পোস্টটা দেইনি। প্লাস আমার কলেজকে জড়ানো হচ্ছিল এ ব্যাপারে। ব্যাপারটার সাথে আমার কলেজের কোনও সম্পর্ক নাই।’ এ পোস্ট নিয়ে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলতে থাকে।
এছাড়াও অন্য একটি ফেসবুক আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ‘খুব মজা সমাবেশ করতে যেতে আসতে রাস্তায় মেয়েদের হ্যারাস করা!! এক মুরুব্বি বলেছেন, ঠিকই আছে, বের হইসো কেনো বাসা থেকে, জানো না আজকে রাস্তায় বেশি ছেলে থাকবে।’
অন্য এক নারী শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হল থেকে বের হয়ে কোনও রিকশা পাইনি। কেউ শাহবাগ যাবে না। হেঁটে শহীদ মিনার পর্যন্ত আসতে হয়েছে। আর পুরোটা রাস্তাজুড়ে ৭ মার্চ পালন করা দেশভক্ত সোনার ছেলেরা একা মেয়ে পেয়ে ইচ্ছামতো টিজ করছে। নোংরা কথা থেকে শুরু করে যেভাবে পারছে টিজ করছে।’
এ বিষয়ে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস-সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অনুষ্ঠানকে বিতর্কিত করতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কিংবা গল্পের কথা শোনা যাচ্ছে। সত্য মিথ্যা কতটুকু জানি না। হয়তো শিগগিরই তা উদঘাটিত হবে। উল্লেখিত ঘটনার আশেপাশে সবখানেই সিসি-ক্যামেরা আছে। ঘটনা ঘটলে কারা কারা দায়ী এবং তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কি তা খুঁজে বের করা কঠিন কিছু হবে না। না ঘটলেও হয়তো রটনার রহস্য উদঘাটিত হবে। উত্তেজিত হয়ে এখনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে অপেক্ষা করাই ভালো।’