প্রথম ম্যাচেই নিজেদের ইতিহাসে আগের সর্বোচ্চ দলীয় রান ছুঁয়েছিল পাকিস্তান। এবার রেকর্ডটাকে নতুন করে লিখল সরফরাজ বাহিনী। গত ম্যাচের চেয়ে ব্যাটিং ভালো করলওয়েস্ট ইন্ডিজও। তবে টার্গেটের ধারেকাছে ভিড়তে পারেননি ক্যারিবীয়রা।
প্রথমে বাবর আজম ও হুসাইন তালাতের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। জবাবে ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮২ রানে জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০তে লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা।
এ নিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে টানা সাতটি সিরিজ জিতল পাকিস্তান। সরফরাজের নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত কোনো সিরিজ হারেনি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দলটি।
সোমবার করাচিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের সূচনাটা মোটেও শুভ হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে রায়াদ এমরিতের শিকার হয়ে ফেরেন হার্ডহিটার ফখর জামান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে বাবর ও তালাতের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মজবুত ভিত পায় স্বাগতিকরা। অভিষিক্ত ওডিন স্মিথের শিকার হয়ে ফেরার আগে এ ওপেনারের সঙ্গে ১১৯ রানের বিস্ফোরক জুটি গড়েন তালাত (৬৩)।
সঙ্গী হারালেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন বাবর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের ওপর চালান স্টিমরোলার। তার বদৌলতে ৩ উইকেটে ২০৫ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আগেরটি ২০৩, যৌথভাবেএ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে।
দলীয় রেকর্ড হলেও আক্ষেপটা থেকে যাচ্ছে বাবরের। মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি এ মাস্টার পিস। ৫৮ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ৯৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি।
জবাবে শুরুতে আন্দ্রে ফ্লেচারকে হারিয়ে হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই বৃত্ত থেকে আর বের হতে পারেননি অতিথিরা। পাল্লা দিয়ে থেকেছেন যাওয়া-আসার মধ্যে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যান তারা। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেন দিনেশ রামদিন। শেষ ৩২ রান তুলতে ৭ উইকেট খুইয়েছে ক্যারিরিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দলটি।
এদিন পাকিস্তানের সেরা বোলার মোহাম্মদ আমির। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন এ বাঁহাতি। ২টি করে উইকেট নেন শাদাব খান ও হুসাইন তালাত।
৯৭ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাবর আজম।