ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা দা সিলভা শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী, ৭২ বছর বয়সী সাবেক এই শ্রমিক নেতাকে জেলে যেতেই হচ্ছে।
তবে প্রথম তিনি আদালতের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরে তিনি স্টিল শ্রমিক ইউনিয়নের একটি কার্যালয়ে শ্রমিকদের নিয়ে অবস্থান নেন। সেখানেই তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দেন।
লুলা এ সময় শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই। আমি যদি আইনে বিশ্বাস না করতাম, তাহলে রাজনীতি করতে আসতাম না।’
সাও পাওলোর কাছের নিজ শহরের শ্রমিকদের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে হেঁটে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আদালত তা খারিজ করে লুলাকে কারাগারে যাওয়ার আদেশ দেন।
লুলা দাবি করেন, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ রায় দেওয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, তাই এমনটা করা হয়। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে লুলা সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বলে এক জরিপে জানা যায়।
২০১৬ সালে এক মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাজিলের আদালত আদেশ দেন, প্রথম আপিল খারিজ হওয়ার পর আসামিকে কারাগারে যেতে হবে। লুলার মামলার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।
সমুদ্রতীরে অ্যাপার্টমেন্ট করার জন্য প্রায় ১১ লাখ ডলার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে গত জুলাইয়ে তাঁকে নয় বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। লুলা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এ বছরের জানুয়ারিতে আদালত তা খারিজ করেন এবং সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ বছর করা হয়।
লুলা ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।