ধুলিহর প্রতিনিধি : সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের তেতুলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ ভূয়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে রোববার সকালে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব পরিচালক (মনি-১) মেহের নিগার এ তদন্ত করেন। জানা যায়, প্রায় দুই বছর ধরে পুরাতন সাতক্ষীরা গ্রামের একরামুল কবীরের কন্যা নাজনীন নাহার, ধুলিহর গ্রামের আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন গাজীর পুত্র রফিকুল ইসলাম ও ধুলিহর বাগডাঙ্গী গ্রামের মাওলানা আতিয়ার রহমানের পুত্র এস,এম আব্দুর রহমান কতিপয় শিক্ষক নেতাদের ম্যানেজ করে তাদের ইন্ধনে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ লাভের চেষ্টা করে। কিন্তু বাধ সাধে এলাকার সাধারণ জনগণ। এ নিয়ে চলতে থাকে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র। ইতিপূর্বে ওই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাঃ ওবায়দুল্যাহিল আসলাম ভূয়া শিক্ষকের তালিকা করে মন্তব্য কলামে অবৈধ বলে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দিয়েছে। এসব ঘটনার জের ধরে যুগ্ম সচিব মেহের নিগার তেতুলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে তদন্ত করেন। তদন্তকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম সচিব মেহের নিগার বলেন, কাগজপত্র পর্যালোচনা, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক, স্থানীয় জনগণ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বক্তব্যে ৩ শিক্ষকের নিয়োগের বিষয়ে কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। এসএমসির সভাপতি ও ইউপি সদস্য বিপ্লব মন্ডল জানান, কোন রকম নিয়োগ ছাড়াই কিছু শিক্ষক নেতাদের মাধ্যমে ৩ শিক্ষক চাকুরী স্থায়ী করনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তেতুলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাধনা মল্লিক জানান, অত্র বিদ্যালয়ে আমি ছাড়া আর কোন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক নাই। এছাড়া ডেপুটেশনে সেলিনা আক্তার নামে একজন শিক্ষিকা কর্মরত রয়েছে। বাচ্ছাদের ক্লাস নিতে হিমশিম খেতে হয় বলে এলাকার মানুষের আর্থিক সহায়তায় অস্থায়ীভাবে পাঠদানের জন্য আরো ২ জনকে নেয়া হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট