গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই মা হয়েছিলেন ২০ বছরের কেটি পাডল। তার সন্তানের বাবা, স্টিফেন পাডল, ঘটনাচক্রে সে কেটি পাডলের নিজের পিতাও বটে।
জন্মের কয়েক বছর পর থেকেই কেটি থাকতেন তার দত্তক পিতা অ্যান্থনি ফাসকোর সঙ্গে নিউ ইয়র্কের উইংডেলে। আর স্টিফেন বসবাস করতেন নাইটডেলে।
বাবা-মেয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক থাকায় আগেই পুলিশের খাতায় নাম উঠেছিল স্টিফেন ও কেটির। ২০১৭ সালের শুরুতেই কেটির মা অর্থাৎ তার স্ত্রীকে স্টিফেন জানান, তার আর কেটির সম্পর্কের কথা। সেই সঙ্গে আরও বলেন যে, মায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করার পরেই মেয়ে কেটিকে বিয়ে করবেন স্টিফেন।
প্রসঙ্গত, কেটির পরে স্টিফেনের আরও দুই সন্তান হয়। খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি তার সেই দুই সন্তানকে স্টিফেন বলেছিলেন কেটিকে বোন নয়, মা হিসেবে দেখতে। অবৈধ এই সম্পর্কের ফলে স্টিফেনকে রীতিমতো বন্ডে সই করতে হয় যে, তিনি আর কেটির সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখবেন না।
কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। ১৮ বছর হওয়ার পরে, কেটি নিজেই তার ‘বায়োলজিকাল’ মা-বাবার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এবং তারপরেই গণ্ডগোলের শুরু। গত বুধবার, স্টিফেনের মা হঠাৎই একটি ফোন পান ছেলের কাছ থেকে। স্টিফেন তাকে বলেন যে, তিনি তার সাত মাসের পুত্রসন্তানকে মেরে ফেলেছেন। দ্রুত পুলিশে খবর দেন স্টিফেনের মা। উইংডেলে স্টিফেনের বাড়িতেই পাওয়া যায় শিশুর দেহটি।
খবর পেয়ে, সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে, একটি ট্রাকের ভিতর থেকে দু’টি মরদেহ উদ্ধার করে তারা। জানা গেছে দেহ দু’টি, কেটি ও তার দত্তক পিতা অ্যান্থনি ফাসকোর। কিছু দূরে, নিউ ইয়র্কের ডোভারে, একটি মিনি ভ্যানের ভেতরে পাওয়া যায় স্টিফেনের দেহও।
তিনজনকে হত্যা করার পরে নিজেই নিজেকে তিনি গুলি করেন বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। তবে, কারণ এখনও জানা যায়নি।