হারনাম কাউর। পৃথিবীর সবচেয়ে কমবয়সী দাড়িওয়ালা নারী। ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটেনের বার্কশায়ারের বাসিন্দা। টানা টানা চোখের সুন্দর মুখশ্রীতে যখন প্রথমবার পুরুষের মতো দাড়ি আবিষ্কার করেছিলেন তিনি, তখন হয়তো অনেক হতাশ হয়েছিলেন। হয়তও কোনো অভিশাপের ফল হিসেবেই এটিকে মেনে নিয়েছিলেন।
কিন্তু এক সময় দাড়িতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি কাউর। এভাবেই নিজেকে খুশি রাখতে চান। কিন্তু যে দাড়ির জন্য এক সময় সবার কাছে তাঁকে হেয় হতে হয়েছে সেটাই একদিন তার জীবনে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দেবে, এটি নিশ্চয় তিনি নিজেও কোনোদিন ভাবতে পারেননি। কিন্তু এমনটিই ঘটেছে ২৪ বছর বয়সী হারনাম কাউরের জীবনে।
সবচেয়ে কমবয়সী পূর্ণ দাড়িওয়ালা নারী হিসেবে তাঁর নাম ওঠেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। হারনামের দাড়ি এখন ছয় ইঞ্চি লম্বা।
এ প্রাপ্তির অনুভূতি হিসেবে হারনাম কাউর বলেন, ‘আমি এতে সম্মানিত বোধ করছি।’
শরীর নিয়ে ইতিবাচক প্রচারক ও মডেল হারনাম কাউর হরমোনজনিত সমস্যা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত। এ কারণেই তাঁর শরীরের লোম, দাড়ি ও চুলের বৃদ্ধি বেশি। অনেক কম বয়সেই তার এই সমস্যা শুরু হয়। কয়েক বছর এ সমস্যা তিনি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাসে তিনবার এগুলো পরিষ্কার করা তার জন্য কষ্টকর ছিল। তাই একটা সময় তিনি এই দাড়িতেই অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি শিখ ধর্মে দীক্ষা নেন। এ ধর্মে চুল দাড়ি কাটা নিষিদ্ধ। তাই তিনি আর কখনও দাড়ি কাটেননি।
নিজের মুখের এই দাড়ি নিয়ে যথেষ্টই সুখী হারনাম। বিভিন্ন সময় তাঁর প্রমাণও তিনি দিয়েছেন। এই দাড়ি নিয়েই বিভিন্ন সাজে মডেলিং করেছেন। দাড়িওয়ালা কোনো নারী হিসেবে ২০১৬ সালের মার্চে লন্ডন ফ্যাশন উইকে তিনিই প্রথমবার শিখদের পাগড়ি পরে রানওয়েতে হেঁটেছিলেন।