ভারতের ঝাড়খণ্ডের চতরা জেলায় এক চিকিৎসক শুধুমাত্র তার ক্লিনিকে করা আলট্রাসাউন্ডের রিপোর্ট ভুল নয়, এটা প্রমাণ করার জন্যই এক নবজাতকের যৌনাঙ্গ কেটে দিলেন! এমন অমানবিক ঘটনায় জন্মের পর ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে অনিল পাণ্ডা নামে এক ব্যত্তির স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চিকিৎসক অনুজ কুমারের ক্লিনিকে। সেখানেই তাকে ভর্তি করা হয়। অপারেশনের আগে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আলট্রাসাউন্ড করা হয়। সেই ইউএসজি অনুযায়ী নারীর গর্ভে কন্যা সন্তান রয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই মা যখন শিশুর জন্ম দেন তখন দেখা যায় সে কন্যা নয়, ছেলে হয়েছে। চিকিৎসক আলট্রাসাউন্ড রিপোর্টকে সত্যি প্রমাণ করতে নবজাতকের প্রাইভেট পার্ট কেটে পেলে দেন। এতে করে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এমন ঘটনার পর শিশুটির বাবা-মা পুলিশে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু পুলিশ ওই হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই অভিযুক্ত চিকিৎসক পালিয়ে যায়।
কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ভারত পুলিশ। প্রথম এফআইআর করা হয়েছে মৃত শিশুর বাবার পক্ষ থেকে এবং দ্বিতীয়টি করা হয়েছে বেআইনিভাবে লিঙ্গ নির্ধারণ করার অপরাধে।