এপ্রিলের শেষ দিকে ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার ‘পটাকা’ ও কণ্ঠশিল্পী পড়শীর ‘রাস্তা’ গানের মিউজিক ভিডিও। তবে পছন্দের চেয়ে বিতর্কই বেশি উঠছে গান দুটি নিয়ে। নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সমালোচকদের দাবি, গানের শিরোনামের সঙ্গে কথা ও ভিডিওর কোনো মিল নেই। সেই অনুযায়ী অধিকাংশই নেটিজেনই পাস নম্বর দেননি। ইউটিউব চ্যানেল গিয়ে দেখা গেছে নেটিজেনরা গান দুটিতে লাইকের চেয়ে ডিজলাইক বাটনে বেশিবার ক্লিক করেছেন।
অথচ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মিউজিক ভিডিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গানের সাথে দৃশ্যায়ন ভক্তদের বিনোদনের জন্য নতুন মাত্রা হিসেবে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি দুটি মিউজিক ভিডিও’র ক্ষেত্রে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখা গেল। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া আলোচনায় আসলেও ‘পটাকা’ গান দিয়ে তিনি যে ভক্তদের মন জয় করতে পারেননি তার প্রমাণ পাওয়া গেছে কমেন্ট ও ডিজলাইকে। তবে এটা সত্য বহু নেটিজেনকে তিনি গানটি শোনাতে সক্ষম হয়েছেন।
নুসরাত ফারিয়ার কণ্ঠে গাওয়া প্রথম গান পটাকা। এই গান রিলিজের পর আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সাধারণত গানের কথা মুখে মুখে ইদানীং কম ফেরে কিন্তু ‘পটাকা’ গানটি মানুষের মুখে উঠে এসেছে। যদিও অনেকের মতে অভিনেত্রী হয়েও নুসরাত ফারিয়া গেয়েছেন ভালো। গত ২৬ এপ্রিল নুসরাত ফারিয়ার গানটি বাংলাদেশ ও ভারতের ভিন্ন ভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সিএমভি’র চ্যানেলে আজ বুধবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ‘পটাকা’র ভিউ ৯ লাখ ৯৮ হাজার ও ভারতের এসভিএফের চ্যানেলে ৪ লাখ ৯৮ হাজার। অর্থাৎ গানটির মোট ভিউ প্রায় ১৫ লাখ। কিন্তু এই ভিডিওতে লাইকের চেয়ে ডিজলাইকের সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশের সিএমভি’র চ্যানেলে ডিজলাইক ৫২ হাজার, ভারতের এসভিএফের চ্যানেলে ডিজলাইক ১৬ হাজার। অর্থাৎ শুধু ডিজলাইকই প্রায় ৭০ হাজার। আর লাইক করেছে সিএমভি’র চ্যানেলে ১০ হাজার এবং এসভিএফের চ্যানেলে সাড়ে ৭ হাজার। মোট লাইক ১৭ হাজার। অর্থাৎ লাইকের চেয়ে ডিজলাইক তিন গুণ বেশি। গানটির সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম হাসান, লিখেছেন রাকিব হাসান রাহুল। মিউজিক ভিডিওর পরিচালক ভারতের নির্মাতা বাবা যাদব।
অন্যদিকে, একই দিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশনে প্রকাশ করা হয়েছে কণ্ঠশিল্পী পড়শীর ‘রাস্তা’ নামের একটি মিউজিক ভিডিও। এখানেও ‘ডিজলাইক’ এর পরিমাণ লাইক-এর চেয়ে বেশি। যা দেখে অবাক হয়েছেন স্বয়ং নেটিজেনরা। কেননা ইতোপূর্বে পড়শীর গানে লাইকের চেয়ে ডিজলাইক-এর সংখ্যা বেশি না দেখা গেলেও এবারই প্রথম তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। এই গানের সঙ্গীত পরিচালক জুয়েল মোর্শেদ, কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন ও ভিডিও নির্মাণ করেছেন শাহরিয়ার পলক। বুধবার এই রিপোর্ট লেখার সময় পড়শীর গানের ‘ভিউয়ার’ হয়েছে ৭ লাখ। ৭ হাজার ডিজলাইকের বিপরীতে লাইক পড়েছে ৫ হাজার।
শুধু ডিজলাইক নয়, গান দুটির ভিডিওতে কমেন্টের দিকে তাকালে দেখা যায় নেতিবাচক মন্তব্যের ভিড়ে ইতিবাচক মন্তব্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে গানের ভিডিওতে লাইক-ডিজলাইক কিংবা ভালো-বাজে কমেন্ট গানের মানদণ্ড নির্ধারণ করে না বলে মনে করেন সংগীত সংশ্লিষ্টরা।তাদের মতে, এটা নেটিজেনদের সাময়িক প্রতিক্রিয়া মাত্র। প্রত্যেক সেলিব্রিটির পক্ষ-বিপক্ষের ভক্তরা ওয়েব জগতে সক্রিয়। তারাই নেতিবাচক-ইতিবাচক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ভিডিও কিংবা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম পোস্টের এমন হাল করেন।