নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘আমরা কচু শাক বাড়ির পাশ থেকে তুলে খেতাম, কলার মুচা খেয়ে বড় হয়েছি। কিন্তু আজ সেগুলো আর দেখা যায় না। এসব অচাষকৃত শাকসবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর, খেলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে।’
মঙ্গলবার সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে প্রকৃতি ও পুষ্টির গল্পের আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ম. হাসান সরোওয়ার্দী এসব কথা বলেন।
বারসিক ইনস্টিটিউট অব এ্যাপ্লাইড স্ট্যাডিজ এবং সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম ‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’ শীর্ষক এ গল্পের আসরের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলী, প্রভাষক ওলিউর রহমান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহীন ইসলাম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের আহবায়ক আসাদুল ইসলাম, সদস্য সাইদুর রহমান, ফজলুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শাক লতা-পাতার পুষ্টিগুণ তুলে ধরেন পুষ্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত যুব উদ্যোক্তা রুহুল কুদ্দুস ও বাবর আলী।
তারা একে একে শাপলা, থানকুনি, কলমি, বন কচু, পেপুল, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মুচা, ডুমুর, বউটুনি, ঘ্যাটকল, ব্রাহ্মি শাক, তেলাকচু, হেলাঞ্চসহ নানা প্রজাতির অচাষকৃত শাক লতা-পাতার পুষ্টিগুল তুলে ধরে বাড়ির আশেপাশে এগুলো সংরক্ষণ ও ব্যবহারের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে পরিবেশের মধ্যে থাকা চেনা-অচেনা এসব শাক লতা-পাতার ওষুধি ও খাদ্যগুণ মুগ্ধ হয়ে শুনছিলেন শিক্ষার্থীরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট