খেলার খবর: মালয়েশিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে মহিলা এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। কুয়ালালামপুরে শনিবার রবিন রাউন্ডে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের ৭০ রানে হারিয়েছে সালমা খাতুনরা। যাতে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ ফাইনালে ওঠার আনন্দে মাতে বাংলাদেশ, রবিবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা ভারতের।
রবিন রাউন্ড পদ্ধতির টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের শুরু থেকেই চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পর ভারতকেও হারিয়ে দেয় তারা, তাতে ফাইনালের সম্ভাবনা তৈরি হয় রুমানা আহমেদ-জাহানারা আলমদের সামনে। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে শনিবার আক্ষরিক অর্থে উড়িয়েই দিয়েছে মালয়েশিয়াকে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শামিমা সুলতানা ও আয়েশা রহমানের দারুণ শুরুর ওপর ভর দিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে করে ১৩০ রান। জবাবে চলতি টুর্নামেন্টে বল হাতে ধারাবাহিক পারফর্ম করা বাংলাদেশের দাপটের সামনে মালয়েশিয়া ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে মাত্র ৬০ রান।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে জিতলেই ফাইনাল- এমন সমীকরণ সামনে রেখে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সমীকরণটা সহজভাবে মিলিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় সালমা খাতুনরা। টানা তিন ম্যাচ জিতে ফাইনাল স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি মালয়েশিয়া।
আগের ম্যাচে অলরাউন্ড পারফর্ম করা রুমানা আহমেদ এই ম্যাচেও বল হাতে জ্বলে ওঠেন। তার ভেলকিতে দিশেহারা মালয়েশিয়ান ব্যাটাররা। ৪ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচ করে রুমানা পেয়েছেন ৩ উইকেট। যদিও উইকেট উৎসবের শুরুটা করেছিলেন জাহানারা আলম। তার আঘাতের পর রান আউটে ১৭ রানে ২ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট যাওয়া দলটি শেষ পর্যন্ত থামে ৬০ রানে। দলের দুজন কেবল পৌঁছাতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে। মাস এলাইসা করেন ১৭, আর উইনফ্রেড ডুরেজিংম করেন ২২ রান।
রুমানার ভেলকির সঙ্গে উইকেট উৎসবে মেতেছিলেন জাহানারা আলম, সালমা খাতুন, নাহিদা আক্তার ও খাদিজাতুল কোবরা; প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার শামিমা ও আয়েশা দারুণ শুরু এনে দেন বাংলাদেশকে। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৫৯ রান। শামীমা ৫৪ বলে করেন ৪৩, আর আয়েশা ২৭ বলে খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। ভারত জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ফারজানা হক অবশ্য থামেন ৭ রান করে। তবে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন ফাহিমা। তার ১২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে খেলা হার না মানা ২৬ রানের ইনিংসেই বাংলাদেশের রান ১৩০ পর্যন্ত যায়।